তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের পরে এবার খুলনায় আয়োজন করা হচ্ছে তারুণ্যের সমাবেশ। নগরজুড়ে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গণে বইছে উৎসবের হাওয়া। কর্মসূচি ঘিরে দিনভর মাইকিং আর বিলবোর্ড টানানো হয়েছে বিভাগজুড়ে।
যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ে ১৭ মে হবে সমাবেশ।
খুলনার শিববাড়ি মোড়ের জিয়া হল চত্বরে বিকেল ৪টায় সমাবেশ আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন দুই বিভাগের নেতাকর্মীরা। প্রতিদিনই চলছে কর্মী সমাবেশ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সমাবেশ ঘিরে প্রতিটি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তরুণদের উৎসাহিত করা হচ্ছে বলে জানান ছাত্রনেতারা।
খুলনা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস বলেন, ‘খুলনার ইতিহাসের সর্ববৃহৎ এক তারুণ্যের সমাবেশ আমরা খুলনাবাসী এবং বরিশালবাসীর সমন্বয়ে পুরো দেশবাসীকে উপহার দেব।’
এই আয়োজনকে স্বাগত জানাচ্ছে নগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশ ঘিরে প্রতিদিন প্রস্তুতি সভা, লিফলেট বিতরণ, মিছিল ও প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বলছেন, তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় এটিই প্রথম কোন রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি'র এক যুগান্তকারী কর্মসূচি। এই কর্মসূচি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অভিনব নেতৃত্ব এবং নির্দেশনার উজ্জ্বল স্মারক।
খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘মেধাবৃত্তিক রাজনীতিকে আকর্ষনীয় করে তোলার জন্যই আমরা এই ধরনের সমাবেশ আয়োজন করছি।’
খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, ‘নতুন প্রজন্ম যে স্বপ্ন দেখিয়েছে, সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে গেলে নতুন প্রজন্মের মতামত, ভোট, পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক, মানবিক, দুর্ণীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
তরুণদের এই মিলনমেলায় অংশ নিতে ইতোমধ্যে খুলনায় পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা। খুলনা মহানগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতেও অগ্রিম বুকিং নেয়া শেষ হয়েছে। এই সমাবেশ থেকেই তারুণ্যের রাজনীতির নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে এমনটিই প্রত্যাশা তৃণমূল নেতাকর্মীদের।