অন্তর্বর্তী সরকার বলছে মৌলিক সংস্কার ও কিছু বিচার শেষ করে নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে। তবে রাজনীতিবিদদের দাবি, বিচার আর সংস্কার কোনটায় নির্বাচন আয়োজনে বাধা হতে পারে না।
দলগুলো বলছে, সঠিক সংস্কার ও বিচার সম্ভব কেবল জনগণের নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে। তাদের দাবি, নির্বাচনী রোডম্যাপ দিলে দেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করবে।
আজ (সোমবার, ২৬ মে) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার আর নির্বাচনকে মুখোমুখি করার উদ্দেশ্য অন্য কিছু।’
খসরু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের পেছনে জাতির বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ, সাংবাদিকসহ সকলের কৃতিত্ব রয়েছে। এই জিনিসটা স্বীকার করতে অসুবিধা আছে?’
তিনি আরো বলেন, ‘কিছু লোক ক্রেডিট নেয়ার জন্য জাতিকে বিভক্ত করেছে। সেনাবাহিনী নির্বাচন চায়, গণতন্ত্র চায়, এটাকে স্বাগত জানাতে হবে।’
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আপনি গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে চাইবেন না, আপনি জনগণের নির্বাচিত সরকার চাইবেন না; আপনি জনগণের মালিকানা ছিরিয়ে দিতে চাইবেন না, তারপরও বলেন ঐক্যের কথা। আপনি গণতন্ত্র ও সংস্কারের সাথে নির্বাচনকে মুখোমুখি করবেন কী জন্য? গণতন্ত্র এবং সংস্কার নির্বাচনের সাথে সাংঘর্ষিক কিছু না।’
এর আগে, সকালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক লড়াইয়ে আমরা আছি।’
দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হবে বলেও উল্লেখ করেন গয়েশ্বর।