তিনি বলেন, ‘ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। বিএনপি ১৭ বছর অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে। তারেক রহমান তার প্রতিটি বক্তৃতায় এখনো বলেন ষড়যন্ত্র থেমে নাই, ষড়যন্ত্রকারীরাও থেমে নাই। তাদের প্রতিহত করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে একসাথে লড়াই করতে হবে। আগামী নির্বাচন যেন নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং মানুষের অংশগ্রহণমূলক হয় সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের।’
রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপি এ জনসমাবেশের আয়োজন করে।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের লন্ডনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে বৈঠক থেকে আমরা যে বার্তা পেয়েছি, আগামী রমজানের আগেই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সকলের ভোট দেয়ার মতো একটি নির্বাচন হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি ঢাকায় বড় বড় সেমিনারে বলেছিলাম নিয়ম করা উচিত, যে এলাকার এমপি সে এলাকায় চিকিৎসা নিতে হবে। আমি যদি এমপি হই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নেব না। একজন এমপি যখন লোকাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিবে, তখন ডাক্তার বাধ্য হবে ভালোভাবে চিকিৎসা করতে। প্রশাসন বাধ্য হবে ওষুধগুলো যেন বিনামূল্যে সরকারি খরচে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে যায়, সেই ব্যবস্থা করতে। আমি নির্বাচিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই আমার চিকিৎসা হবে।’
চুন্টা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান নান্নুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জহিরুল হক খোকন, সহসভাপতি এ. বি. এম. মোমিনু্ল হক ও সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।