তিনি বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধান প্রণয়নের মধ্য দিয়ে এ দেশ পুনর্গঠন করতে হবে আমরা প্রথাগত রাজনীতিবিদদের মত কথা বলি না। এনসিপি কোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়না। সময়ের প্রয়োজনে রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে আমরা রাজনৈতিক হয়ে উঠেছি এবং রাজনৈতিক দল গঠন করতে হয়েছে। এক বছর পার হলেও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। এ কারণে আমরা বলছি বিচার সংস্কার এবং নতুন সংবিধানই হচ্ছে আমাদের প্রধান দাবি।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা শুধু বলছি না, আমরা শুনছিও। প্রত্যেকটা জেলায় আমরা শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কথা শুনছি।’
অবহেলিত নওগাঁ নিয়ে নাহিদ বলেন, ‘অনেক ভাঙা পথঘাট পেরিয়ে জেলা শহরে আসতে হয়েছে। বিগত ১৬ বছর আমরা শুধু উন্নয়নের কথা শুনেছি। চারিদিকে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। নওগাঁয় এসে দেখলাম ফ্যাসিস্ট সরকার কিভাবে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছিল। সেই প্রতারণার দিন শেষ হয়েছে। কিন্তু আমরা চাই না নতুন করে আবারো প্রতারণা শুরু হোক।’
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘৭২ এর সংবিধানের প্রতি মমতা ও ভালবাসা আবারো উতলে উঠছে। এ সংবিধান আমাদের দেশকে ফ্যাসিবাদী বানিয়েছে। যেখানে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এ সংবিধান অবশ্যই অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। যারা আমার দেশকে ভালবাসে না, তারাই বলে এটা নাকি আবেগ। ২৪ শুধু আবেগ। অবশ্যই ২৪কে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।’
এসময় এনসিপি সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, সদস্য সচিব আখতার হোসাইন, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও শহীদ পরিবারের স্বজনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে নওগাঁ শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে এনসিপির নেতৃবৃন্দের পদযাত্রা করে শহরের নওজোয়ান মাঠে সমাবেশে যোগ দেন।