নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারি মাসের কথা ঘোষণা করার পর থেকেই, পক্ষে বিপক্ষে নানা বক্তব্য দিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতে, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠন করা গেলেই সম্ভব হবে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
আজ (শনিবার, ২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব জানান, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে দেশকে সর্বস্বান্ত করে ফেলেছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন আমলারা তাই অনেক ক্ষেত্রে অসহায় উপদেষ্টারা।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আপনারা সেক্রেটারিয়েটে গেলে দেখবেন সব আমলারা বসে আছেন, তারাই সবকিছু নির্ধারণ করেন। আমাদের উপদেষ্টারা যারা দায়িত্ব পালন করছেন, এখন অনেক ক্ষেত্রেই তারা অসহায়। তারপরেও আমরা আশা করি, তারা যে চেষ্টা করেছেন সে চেষ্টাটা নিয়ে যারা সংস্কারের কমিশন আছেন, তারা সবাই মিলে আমরা শুরু করতে পারি— যা দিয়ে আমরা ভবিষ্যতের বৈষম্যহীন বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ফ্যাসিস্ট আমলে গণমাধ্যম: বর্তমান অবস্থা ও জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আরেক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শুধু ভোটের মাধ্যমে নয়, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে বাংলাদেশের মানুষের মনোজগতে যে পরিবর্তন এসেছে, যে প্রত্যাশা জেগেছে, যে আকাঙ্ক্ষা জেগেছে, যে রাজনৈতিক দল সেটা বুঝতে পারবে না, ধারণ করতে পারবে না, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী দিনে তাদের জন্য কোনো জায়গা থাকবে না।’
অভ্যুত্থান পরবর্তী সুযোগটা ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে বৈষম্যহীনতার কাছাকাছি নিতে পারলেও অভ্যুত্থানের কিছুটা মূল্যায়ন করা যাবে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।