রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃজনক বিষয় হলো এখানে একটি মারামারি হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি মনে করেছি আমার কেস আমি নিজেই প্রেজেন্ট করবো। সো, আমার কেস আমি প্রেজেন্ট করেছি। আমি আশা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশনের সম্মানের দিকে তাকিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এ যারা আছে তারা গুন্ডাপান্ডা নিয়ে ঢুকবে না নির্বাচন কমিশনে। বাট আনফরচুনেটলি আমি দেখলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এ যিনি প্রার্থী তিনি সদলবলে ২০ থেকে ২৫ জন মিলে গুন্ডা-পান্ডার মতো আচার-আচরণ করলেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, লজ্জাজনক। আমি মনে করি, এটা কমিশনের যে ভাবমূর্তি, গাম্ভীর্য এবং সম্মান সেটার সঙ্গে এটা যায় না।’
মোবাইলফোনের কিছু ছবি দেখিয়ে রুমিন ফারহানা দাবি করেন, তারা এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে পিটিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে।
তিনি বলেন, ‘এটাই তাদের ন্যাচার। এখনো নির্বাচন আসেনি, একটা সীমানা নির্ধারণ নিয়ে এলাকায় এভাবেই তারা পিটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এর যিনি আছেন তিনি স্বীকারোক্তি নিয়েছেন।’
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, ‘মুশকিলের বিষয় হচ্ছে তিনি (আতাউল্লাহ) পরিচিত মুখ নন। তিনি এনসিপি থেকে এসেছেন, না জামায়াত থেকে এসেছেন, আমি জানি না। তবে উনি (আতাউল্লাহ) প্রথম, সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত একজন আমাকে ধাক্কা দিয়েছেন। তারপর আমার লোকজন তো বসে থাকবে না। আমি তো একজন মহিলা। এবং পরে যখন আমার লোকজনকে মারধর করেছে, আমার লোকজনও জবাব দিয়েছে। এটা সিম্পল।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ)-এর সঙ্গে যুক্ত করার খসড়া করেছে ইসি। এই ইউনিয়নগুলো হলো-বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর। এর পক্ষে রুমিন ফারহানা।
মারামারির বিষয়ে খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ‘এখানে আসলে এনসিপির সাথে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার একটা তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এটা আসলে দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। এই লেভেলে এসে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক।...কমিশন শুনানি নিয়েছেন। কিছু হট্টগোল হয়েছে, যেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ অনেক ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে, যেগুলো কোনো যৌক্তিক নয়। আমরা মনে করি, এই তিনটি ইউনিয়ন সদর বিজয়নগরের সাথেই থাকা উচিত।’
খালেদ হোসেন মাহবুব বলেন, বিজয়নগরের ১০টি ইউনিয়ন থেকে তিনটি ইউনিয়ন আশুগঞ্জ ও সরাইলের সঙ্গে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের খসড়া করা হয়েছে। কিন্তু বিজয়নগরের এই তিন এলাকার লোকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও আশুগঞ্জের সঙ্গে যেতে চাচ্ছে না। তারা এই তিনটি ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সঙ্গে রাখার আবেদন জানিয়েছেন।