রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছেন: এনসিপি নেতা আয়াতউল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আয়াতউল্লাহ
রাজনীতি
0

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আয়াতউল্লাহ অভিযোগ করেছেন, ‘আমি এখানে বিজয়নগর নিয়ে শুনানিতে অংশ নিতে এসেছি। এখানে অনেকেই অংশগ্রহণ করে তাদের যুক্তি-তর্ক তুলে ধরেছেন। আমি যখন শুনানিতে কথা বলতে যাব, তখন বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছেন।’

আজ (রোববার, ২৪ আগস্ট) নির্বাচন কমিশনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত শুনানির প্রথম দিনেই হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় দু’পক্ষের অংশগ্রহণকারীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

আয়াতউল্লাহ দাবি করেন, ‘রুমিন ফারহানার কিছু গুন্ডাবাহিনী আমাকে পায়ের নিচে ফেলে ফুটবলের মতো লাথিপেটা করেছে। এ ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনে আমাকে যেভাবে লাথি মারা হয়েছে, আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, সবাই সেটি দেখেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আমরা এই দেশের জন্য জীবন দিতে এবং রক্ত দিতে প্রস্তুত। আমরা চাই ছিল গণতান্ত্রিক পরিবেশ, যেখানে সবাই তার মতামত প্রকাশ করবে। কিন্তু আমি আমার কথা বলতে পারিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনে এত বড় ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে দেশের অন্য কোথাও আমাদের নিরাপত্তা নেই। আমি নিরাপত্তা চাই। এই নিরাপদ দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের রক্তের মর্যাদা রক্ষায় আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই। যদি বিচার না হয়, তাহলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ করা উচিত, কারণ তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। আপনারা ফুটেজ সংগ্রহ করুন, দেখুন কীভাবে গুন্ডাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করা হলো। আমি বিজয়নগরের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব। বিজয়নগর অখণ্ড থাকবে। আমরা মরতে প্রস্তুত, কিন্তু বিজয়নগর এক থাকবে।’

আরও পড়ুন:

নির্বাচন কমিশনের খসড়া সীমানা প্রকাশের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের পক্ষে-বিপক্ষে একাধিক আবেদন জমা পড়ে। শুনানিতে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন, অন্যদিকে কয়েকজন আবেদনকারী এর বিপক্ষে অবস্থান নেন।

একপর্যায়ে উভয়পক্ষের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কমিশনের কর্মকর্তারা এবং উপস্থিত পুলিশ। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর ইসি সচিব শুনানি সমাপ্ত ঘোষণা করেন এবং সংশ্লিষ্টদের কক্ষে ত্যাগ করার অনুরোধ জানান।

শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের প্রার্থী গুন্ডা নিয়ে এসেছেন। ১৫ বছর বিএনপির জন্য লড়াই করেছি, এখন তারা আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনে এমন ঘটনা ঘটেছে, এটি দুঃখজনক।’

রুমিন ফারহানা সাংবাদিকদের আরও বলেন, ‘প্রথমে তারা আমাদের ধাক্কা দিয়েছে। এটি দেখে আমার অনুসারীরা বসে থাকেনি। তাদের ধাক্কার প্রতিবাদে আমাদের লোকজনও ধাক্কা দিয়েছে।’ এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তারা কি এনসিপি-জামায়াত ছিল, নাকি গুন্ডা-মাস্তান, সেটা আমরা দেখিনি।’

এনএইচ