সম্প্রতি টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় ফজলুর রহমানের ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জামায়াত-শিবিরের ভূমিকা’ নিয়ে একটি বক্তব্যের জেরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ফজলুর রহমানের ওই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে গত রোববার রাতে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি। সেখানে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে লিখিতভাবে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ওই সময়সীমা আরও ২৪ ঘণ্টা বাড়ানো হয়, যা শেষ হচ্ছে আজ।
আরও পড়ুন:
নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে গতকাল রাজধানীর সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি দাবি করেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সম্পর্কে তিনি কোনো অপ্রীতিকর মন্তব্য করেননি।
সেখানে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে যে আমি ওই বিষয়ে কোনো অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছি, তাহলে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবো।’ অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের পক্ষ থেকে দেয়া শোকজের জবাবের পর আজ দল থেকে তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
আরও পড়ুন:
পদ স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ আগস্ট আপনার নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। আপনি নোটিশের লিখিত জবাব না দিয়ে সময় বর্ধিত করার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সময় আরও ২৪ ঘণ্টা বর্ধিত করা হয়। আপনি আজ নোটিশের যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক নয়।
এতে আরও বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান বিবেচনা করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিয়ে আপনার দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ তিন মাসের জন্য নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।