গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘ইসলামী শক্তি সন্ত্রাস বা চাঁদাবাজি করে না। আমরা সব ইসলামিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছি। ইসলামী আন্দোলন হিংসার রাজনীতি করে না, মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে। ইসলামী আন্দোলন কখনোই ফ্যাসিবাদের সাথে ছিল না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সবাই খারাপ ছিলেন না। কোনো ভালো মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কিছু দলের নেতারা দুর্নীতিতে জড়িত, কর্মীরা চাঁদাবাজি করেন এগুলো আমরা চাই না। যারা অতীতে দেশ শাসন করেছেন, তাদের চরিত্র সংশোধন হয়নি। তারা যদি ভালো কিছু করতেন, মানুষ জানতো তারা ক্ষমতায় গেলে ভালো কিছু করবেন।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী মানুষ নতুন শক্তি চাই। বিগত দিনে যারা রাষ্ট্র ধ্বংস করেছে, অর্থনীতি লুটপাট ও মানুষকে নির্যাতন এবং ওয়াদা ভঙ্গ করেছে মানুষ তাদের নতুন করে দেখতে চাই চাই না। এখনও অনেকে অতীত থেকে বেরিয়ে আসতে চাই না এবং অতীতের রাজনীতি চর্চা করতে চাই। আমরা নতুন রাষ্ট্র গঠনে গণমানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে রাষ্ট্র এগিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এজন্য অনেকে ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে তারা জেগেছে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত নওগাঁ-১ আসনের এমপি প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল হক শাহ্-এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) মুফতী হাজী শেখ নুরুন নাবী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) মুফতী মোস্তফা কামাল, নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মাস্টার মুহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ নাজমুল ইসলামসহ অন্যরা।