রেওয়াজ মেনে বছরের শুরুর দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বই বিতরণ শুরু হলেও, এপ্রিলের মাঝামাঝি এসেও অনেক শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছায়নি সব পাঠ্যবই।
যদিও এনসিটিবির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যানের আশ্বাস ছিল জানুয়ারির মধ্যেই সব বই দেয়ার। তবে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড জানিয়েছে, চলতি বছরের শতভাগ পাঠ্যবইয়ের ছাড়পত্র হয়েছে ২৪ মার্চ। তবুও প্রশ্ন থাকে, এ বিলম্ব নিয়ে।
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ওনার কথার ওপর আস্থা রেখে উপদেষ্টা বারবার বইয়ের তারিখ ঘোষণা করে লজ্জিত হয়েছেন। এই সরকারের আমার মনে হয় বই দেয়া ছাড়া এ ধরনের বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এটার মূল দায় হলো এনসিটিবির অপরিকল্পনা। আমরা মনে করবো এবার এনসিটিবি পরিকল্পিতভাবে যাবে। পাশাপাশি আমি একটা দাবি করবো যে অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে যে পরিমার্জন আনে তাতেও নানা বিষয় নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। তাই এই শিক্ষাবিদের পরামর্শ, কারিকুলামে পরিবর্তন বা সংযোজন-বিয়োজন নিয়ে আগেই কাজ শুরু করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘একেবারে প্রথম পদক্ষেপ হলো একটা শিক্ষা কমিশন। এই কমিশনের একটা পার্টের কাজ হবে শিক্ষানীতিটাকে রিভিউ করা। এবং এর উপরে বেসিস করে কারিকুলামটা ঠিক করা। এবং সেই অনুযায়ী সাজেস্ট করা যে পাঠ্যবই কেমন হবে। এবং সে অনুযায়ী কার্যক্রম এখন থেকেই মুরু করে দিতে হবে। না হলে আমরা ২০২৬ সালের প্রথম দিকে বই পাবো না।’
চলতি বছরের এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই আসছে বছরের জন্য আগাম কাজ শুরু কথা জানালো এনসিটিবি। পরিকল্পনা করছে এবছরের অক্টোবরের মধ্যে ২০২৬ সালের প্রাথমিকের পাঠ্যবই এবং নভেম্বরের মধ্যে মাধ্যমিকের বই মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানোর।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরী বলেন, ‘অলরেডি আমাদের এপিপি পাশ হয়ে গিয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা এপ্রিলের শেষ অংশে আমাদের টেন্ডার ফ্লোট করছি। এবং প্রাইমারির ক্ষেত্রে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের বই চলে যাবে। আর মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে নভেম্বরের মাঝামাঝি।’
এনসিটিবি আরও জানায়, ২০২৬ সালের জন্য বইয়ের পরিমার্জন চলছে, যা এপ্রিলেই শেষ হওয়ার কথা।