ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের মধ্যে গুরুত্ব পেয়েছে ক্রীড়া সম্পাদক পদটি। এ পদে লড়বেন ১৩ জন। আর প্রায় সব প্রার্থীরই বিচরণ রয়েছে ক্রীড়াঙ্গনে।
যেমন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলে খেলেছেন জহিন ফেরদৌস জামি। ব্যাট-বলের সঙ্গে ডাকসুর ক্রীড়া ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অবদান রাখতে চান এই ক্রিকেটার।
অন্যদিকে লড়ছেন আরমান হোসেন। জুডো ও কারাতে পেয়েছেন ব্ল্যাক বেল্ট। বিকেএসপি থেকে নিয়েছেন কোচ প্রশিক্ষণ। হলে হলে গিয়ে নারীদের শিখিয়েছেন সেল্ফ-ডিফেন্স।
ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়ে কাজ করতে চান নারীদের খেলাখুলায় আগ্রহী করতে। সেইসঙ্গে নারী-পুরুষ আলাদা দু'টি জিমনেসিয়াম তৈরি করতে কাজ করতে চান তিনি।
আরও পড়ুন:
পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঠমুখী করতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছেন সব প্রার্থী। ডাকসু নির্বাচনে প্রথম নারী ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মালিহা তাবাসসুম মিম লড়ছেন প্রতিরোধ পর্ষদের প্যানেল থেকে।
বেদখল মাঠ ও ক্রীড়া স্থাপনা পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি নারীদের খেলাধুলায় শতভাগ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান তিনি। অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ থেকে প্রার্থী হয়েছেন ফুটবলপ্রেমী আল আমিন সরকার।
ছাত্রদলের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় ফুটবল দলের সদস্য চিমচিম চাকমা। টুর্নামেন্ট ভিত্তিক প্রশিক্ষণের রীতি থেকে বেরিয়ে সারা বছর প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি তার।
অন্যদিকে শুধু ফুটবল আর ক্রিকেট নয়, অন্যান্য খেলার আয়োজন ও প্রশিক্ষণে জোর দিতে চান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করা অ্যাথলেট মোক্তার হোসেন।
ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেয়া ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থীরা বলছেন, তারা শুধু নেতা হিসেবে নয়, একজন সহপাঠী হিসেবে শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় কাজ করবেন।