প্রস্তুতির ঘাটতি, এই বিষয়টিই যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে সেঁটে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে। যার আক্ষেপ প্রতিটি ব্যর্থ সিরিজের পর খেলোয়াড়-সমর্থকদের কণ্ঠে থাকে।
সাদা পোশাকে পাকিস্তান আর উইন্ডিজের সঙ্গে জিতলেও, ঘরের মাঠে ভুলে যাবার মতোই একটি বছর ছিল ২০২৪। দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হবার লজ্জার সাথে ললাটে লেপে আছে পাঁচটি লজ্জাজনক হার। সেখানে নতুন বছরের শুরুতেই যেন আনন্দের উপলক্ষ হতেই জিম্বাবুয়ে আসছে বাংলাদেশে।
রঙিন পোশাকের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) থেকে সরাসরি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ক্যাম্প, সময়ের ব্যবধানটা হবে দশদিনেরও কম। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই কি প্রস্তুতিতে অবহেলা?
শান্ত বলেন, 'বড় দলের সাথে খেললে যে ধরনের চাপ থাকে, সেরকমই থাকবে। প্রাক্টিসের জন্য আরো দুই একটা দিন বেশি সময় পেলে ভালো হত বলে আমার মনে হয়।'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ছাড়াও এ বছর আরো ৬টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে বরাবরই বিবর্ণ বাংলাদেশকে এবার উন্নত করতে চান অধিনায়ক।
শান্ত বলেন, 'টেস্টে আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। গত বছর আমরা ৪টি ম্যাচ জিতেছিলাম, আমার যত দূর মনে পড়ে। এই বছরও আমাদের ৬টি টেস্ট আছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যেন আমরা গত বছরের থেকে ভালো করতে পারি।'
পাকিস্তান সুপার লিগ খেলার অনাপত্তিপত্র পাওয়ায় দলে পাচ্ছেন না লিটন দাসকে। পরের টেস্টে পাওয়া যাবে না নাহিদ রানাকেও। যদি বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন শান্ত।
শান্ত আরো বলেন, 'দেশের খেলাটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে সামনে যদি সেরকম সুযোগ থাকে দেশের বাইরেও আমাদের অনেক খেলোয়াড় যাবে খেলতে।'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ তিন দেখায় বড় ব্যবধানেই জিতেছে বাংলাদেশ। এটিই হয়তোবা শান্তদের বাড়তি আত্মবিশ্বাসের অনুষঙ্গ।