আইপিএল স্থগিত

আইপিএল ট্রফি
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রভাব পড়েছে খেলার মাঠেও। পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলো দুবাইয়ে সরানোর পর এবার নিরাপত্তা শঙ্কায় স্থগিত করা হলো আইপিএল।

কাশ্মীরের উত্তেজনা পেরিয়ে এবার মুখোমুখি পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ—ভারত ও পাকিস্তান। দুই দেশের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত শ’খানেক মানুষ।

প্রায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পরস্পর মুখোমুখি অবস্থানে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। এবার ২২ গজের ক্রিকেটেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। চলমান পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন নিয়ে শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান। একইভাবে নিরাপত্তা শঙ্কায় রয়েছে ভারতীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলও। সে কারণে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে একটি ম্যাচের ভেন্যু।

চলমান সংঘাত ও উত্তেজনার মাঝে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি শহরে ড্রোন হামলা চালায় ভারত। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশেই একটি ড্রোন আঘাত করলে পিএসএলের সব ম্যাচ করাচিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। করাচি কিংস ও পেশোয়ার জালমির নির্ধারিত ম্যাচ স্থগিত করার পর জরুরি সভায় বসে পিসিবি। পরে বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা ভেবে পিএসএলের সব ম্যাচ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পিসিবি থেকে জানানো হয় পিএসএলের বাকি আট ম্যাচের ভেন্যু ও তারিখ নতুন করে ঠিক করা হবে।

এদিকে, আইপিএলের দুই ভেন্যুতে পর পর দুই দিন বোমা হামলার হুমকি আসে অজ্ঞাত মেইল থেকে। ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই জানিয়েছিল আইপিএল চলবে নির্ধারিত সময়সূচি মেনেই। চলমান পরিস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজন বা সূচি পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে অভিমত দিয়েছিলেন একজন কর্মকর্তা। তবে পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় ধর্মশালা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পাঞ্জাব কিংস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ। এ ছাড়া নিরাপত্তাজনিত কারণে ম্যাচের মাঝপথেই পরিত্যক্ত হয় পাঞ্জাব ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ।

যুদ্ধের ডামাডোলে হয়তো থামছে না ক্রিকেট, কিন্তু থেমে নেই শঙ্কা। প্রতিটি ম্যাচ যেন এখন এক নতুন লড়াই—শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরের যুদ্ধের ভয়াবহতা। এখন তাই বড় প্রশ্ন, যুদ্ধ ও খেলার মধ্যের সূক্ষ্ম সীমারেখা এবার কতটা টিকবে?

এসএস