ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদ নিয়ে যখন এলোমেলো অবস্থা। তখন মাঠের ক্রিকেটেও একি হাল! নেই দলীয় কিংবা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। হারের তালিকাটা যেন বড়ই হচ্ছে দিন দিন।
কেউ কেউ তো বলছে আইসিসির সহযোগী দেশের জন্যই যোগ্য প্রতিপক্ষ টিম বাংলাদেশ। তবে সেখানেও আছে সিরিজ হারের নজির। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে তো জয়টা আসে কালেভদ্রে।
সেই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানেও হেরেছে টাইগাররা। ৫ ম্যাচের সিরিজ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ৩ ম্যাচে নামানো। এরপর প্রথম ম্যাচেই হার।
এখন তো সিরিজ বাঁচানোই দায় বাংলাদেশের সামনে। আর টাইগারদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান যে খুব ভালো ফর্মে আছে, সেটা বলা যাবে না। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও তাদের পারফরম্যান্স ছিল বিবর্ণ।
এরপর নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে আট ম্যাচে ম্যান ইন গ্রিনদের জয় মাত্র একটিতে। দলটির এই অবস্থা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশের বিপক্ষে এসেছে এক জয়।
এ ছাড়া দলটিতে নেই বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদির মতো তারকা ক্রিকেটাররা। তবু খাবি খাচ্ছে বাংলাদেশ দল।
শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। সেখানে হয়তো ভুল শোধরানোর জন্যই নামবে কথিত টাইগাররা। কিংবা শেখার উদ্দেশে। কিন্তু এ শেখার তো সময়সীমা অনন্তকাল। যা ঘড়ির টাইম ফ্রেমে বন্দি করে রাখা যায় না।
এ ম্যাচ জিতলে টাইগাররা ফিরবে সিরিজ জেতার লড়াইয়ে। আর হারলে আরো একটি সিরিজ হাত ছাড়া টাইগারদের। তবে সে যাইহোক দিন দিন রং হারানো বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা হয়তো আবারো অপেক্ষা করবে একটি জয় দেখার জন্য। সেটা যে ম্যাচেই হোক। যে দেশেই হোক।