টেস্ট মানেই আভিজাত্য। দুই দেশের অহংবোধের লড়াই। সাদা পোশাকে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জানান দেওয়ার তাগিদ।
ভারত-ইংল্যান্ড রাইভালরি ক্রিকেটে কয়েক যুগ পুরনো । অ্যাশেজের পর সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়ায় স্টোকস-গিলদের লড়াই। নতুন নামে শুরু হওয়া এই সিরিজে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড এবার সম্মতি জানিয়েছে সিরিজ শেষে বিজয়ী দল থেকে দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা। মূলত ক্রিকেটের প্রতি শচীন টেন্ডুলকার ও জেমস এন্ডারসনের অসামান্য অবদানকে সেলিব্রেট করতেই এমন আয়োজন।
শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ দিয়ে রোহিত-কোহলিবিহীন টেস্ট যুগ শুরু করতে যাচ্ছে ভারত। টেস্টে ৬৭ ম্যাচে রোহিতের রান চার হাজার ৩০১। ১২৩ ম্যাচে কোহলির রান নয় হাজার ২৩০ রান। রোহিত-কোহলি যুগের পর সম্পূর্ণ এক নয়া যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া। অনেকটা আনকোড়া এক দল নিয়ে অধিনায়ক গিল ও সহ অধিনায়ক রিশাভ পন্তের বাহিনীকে পড়তে হবে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জের মুখে।
রোহিতের জায়গায় ওপেনার হিসেবে খেলবেন লোকেশ রাহুল। যশ্বসী জায়স্বালের সাথে ইনিংস শুরু করবেন তিনি। তিন নম্বরে সুযোগ পাবার দৌড়ে এগিয়ে করুণ নায়ার। দীর্ঘ আট বছর পর টেস্ট দলে ফিরেছেন তিনি। চার নম্বরে কোহলির জায়গায় এবার ব্যাট করবেন অধিনায়ক শুভমান গিল।
অন্যদিকে ঘরের মাঠে ভারতকে বধ করতে শক্তিশালী স্কোয়াড সাজিয়েছে স্টোকস বাহিনী। দলে বেথেলকে পেছনে ফেলে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন ওলি পোপ। তিন নম্বরে ব্যাট করবেন তিনি।
সবশেষ টেস্টের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন গাস অ্যাটকিনসন ও স্যাম কুক। ভারতের বিপক্ষে দলে সুযোগ পেয়েছেন ক্রিস ওকস ও ব্রাইডন কার্স।একাদশে একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন শোয়েব বাশির। দলের প্রয়োজনে স্পিন ভেল্কি দেখাতে পারেন জো রুট।
২০০৭ সালে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত। এরপর তিন টেস্ট সিরিজের সবগুলোই হেরেছে টিম ইন্ডিয়া। সর্বশেষ ২০২১ সালে ২-২ সমতায় সিরিজ শেষ করে ভারত। এখন পর্যন্ত টেস্টে ১৩৬বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও ইংল্যান্ড। এরমধ্যে ইংলিশদের জয় ৫১ ম্যাচে এবং ভারত জিতেছে ৩৫ টেস্ট। ড্র হয়েছে ৫০ টেস্ট।
ভারতকে টেক্কা দিতে হেডিংলিতে ভালো উইকেট চেয়েছে ইংল্যান্ড কোচ ও অধিনায়ক। লিডসে বিকাল ৪টায় দুই দলের রাইভালরি দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট ভক্তরা।