অবশেষে এসিসির বৈঠক নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। তবে এশিয়া কাপের সূচি নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেলো। এ ব্যাপারে কোনো ঘোষণা না দিয়েই শেষ হলো আলোচিত বৈঠক। এসিসি চেয়ারম্যান এড়িয়ে গেলেও বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যে সাম্প্রতিক দ্বন্দের সমাধান হয়নি সেটা স্পষ্ট।
অবশ্য এরপরেও নাকভির আশাবাদ সমস্যার সমাধান সাপেক্ষে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ। প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ঠিকই তবে সূচি বা ভেন্যু চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এসিসি নয় বরং বিসিসিআই-ই যেন শেষ কথা।
এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহসিন রেজা নাকভি বলেন, ‘এসিসি ও বিসিসিআই মিলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। আমরা আশা করি এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে কি না সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এশিয়া কাপের সূচি শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। দ্রুতই আমরা সবকিছু সমাধান করবো।’
বিসিসিআইয়ের গড়িমসি কিংবা অনলাইনে যুক্ত হওয়াকে নেতিবাচকভাবে দেখছে না এসিসি। এশিয়া কপে অনুষ্ঠিত হলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে কি না সেই বিষয়টিও দুলছে পেনডুলামের মতো। তবে ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসিসি।
মহসিন রেজা নাকভি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে ক্রিকেটের জন্য কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোনো ক্রিকেট বোর্ডের-ই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকবে না। ভবিষ্যতেও এ ধরনের বৈঠক অব্যাহত রাখতে চাই।’
তবে যাবতীয় সমস্যার বিপরীতে শেষ পর্যন্ত এসিসির অন্তর্ভুক্ত সবকটি দেশ বৈঠকে অংশগ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মহসিন নাকভি। পুরো কার্যক্রম সম্পাদনের কৃতিত্ব দিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে।
নাকভি বলেন, ‘বৈঠক ভালো হয়েছে।এসিসির সব সদস্যই অংশগ্রহণ করেছে। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ভাইকে ধন্যবাদ আমাদের দারুণভাবে আতিথেয়তা দেয়ার জন্য।’
শঙ্কার কালো মেঘ কেটে যাওয়ায় বৈঠক শেষে বেশ স্বতস্ফূর্তই ছিলেন এশীয় ক্রিকেট কর্তারা। তবে শেষ পর্যন্ত হাসিটা থাকবে কি না সেটা নির্ভর করবে বিসিসিআইয়ের দাবার শেষ চালের ওপর।