শোকের ভারে নুইয়ে পড়ে পুরো বাংলাদেশ, মাইলস্টোনের দুর্ঘটনায় স্তব্ধতা নেমে আসে পুরো দেশজুড়ে। তবুও সেই শোক নিয়েই গ্যালারি ভর্তি দর্শককে ক্ষত মুছে দেয়ার প্রলেপ দেয় টিম বাংলাদেশ। ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে বাংলাদেশ।
ব্যাটে বলে জ্বলে উঠে বেশ কিছু দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। ৩ ম্যাচ শেষে ব্যাটিংয়ে সবার উপরে জাকের আলি। ৭১ রান করে সিরিজ সেরাও হয়েছেন তিনি।
২ ম্যাচে ৬৯ রান করে তারপরেই আছেন তরুণ ওপেনার পাভেজ ইমন। মাত্র ১ ম্যাচেই নিজের মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন পাক ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান। তালিকার ৩ নাম্বারে পাকিস্তানের এ নতুন ড্যাশিং ব্যাটার।
সিরিজ জুড়েই বেশ ধারাবাহিক ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ২ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে সবার উপরে তাসকিন আহমেদ। সেরা বোলিং ফিগার ২২ রানে ৩ উইকেট।
তাসকিনের পরেই আছেন শরিফুল। ২ ম্যাচে নিয়েছেন ৪ উইকেট, সেরা ১৭ রানে ৩ উইকেট। তবে ৭ উইকেট নিয়ে সবার উপরে পাকিস্তানি পেসার সালমান মির্জা। ৩ ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট, ক্যারিয়ার সেরা ২০ রানে ৩ উইকেট।
কাটার মাস্টার মোস্তাফিজ ও প্রথম দুই ম্যাচে ছিলেন বেশ ছন্দে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তানজিম সাকিব। টেস্ট ও ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করলেও শেষ ম্যাচের ব্যর্থতায় সংক্ষিপ্ত সংস্করণে হাতছাড়া হয় হোয়াইটওয়াশের সুযোগ।
তবে এশিয়া কাপ ও আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাসী করবে লিটন বাহিনীকে।