একাধিক সিনিয়রের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে ছিল শঙ্কা। বিশেষ করে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পর্যাপ্ত সাফল্য না থাকায় প্রশ্ন ছিল অনেক। সেই শঙ্কা পেছনে ফেলে বাংলাদেশ আপাতত হাঁটছে বড় স্বপ্নের পথে। দলের একাধিক তরুণ পারফর্মার এশিয়া কাপের আগে এনে দিয়েছেন সাফল্য। সবশেষ দুই সিরিজ জয় আর টিম কম্বিনেশন এই মুহূর্তে ক্রিকেট ভক্তদের আশাবাদী করতেই পারে।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে স্ট্রাইক রেট যেন ব্যাটারদের দক্ষতার মানদণ্ড। সেই প্রশ্নে স্বস্তি আর শঙ্কা দুইই আছে বাংলাদেশ দলে। স্ট্রাইক রেটের বিচারে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সেরা সাত ব্যাটারের ছয়জনই বর্তমান দলের অংশ। এরইমধ্যে নিজেদের ব্যাটিং দক্ষতা প্রমাণ করেছেন ইমন, তামিম, শামীম কিংবা জাকের আলীরা। তবে পুরো দলে নেই অন্তত ১৪০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা কোনো খেলোয়াড়। সেই সঙ্গে বড় ইনিংস খেলতে না পারার আক্ষেপটাও হয়তো ভোগাবে এশিয়া কাপ কিংবা বিশ্বকাপে।
বোলিং বিভাগেও আছে মিশ্র ভাব। পরিসংখ্যান বলছে, মাঝের ওভারে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের বিপক্ষে খুব একটা কার্যকর ফর্মে নেই টাইগার বোলাররা। দলে থাকা সব বোলারদেরই উইকেটপ্রতি খরচ করতে হয়েছে ২৮ রানের বেশি। বল হাতে তুলনামূলক দ্রুতগতির উইকেটে তাই কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য। তবে এমন পরিসংখ্যানের বিপরীতে স্বস্তি মুস্তাফিজুর রহমানের উপস্থিতি। চলতি বছর তার খেলা সব ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ। কাটার মাস্টারের এমন ফর্ম নিশ্চিতভাবেই স্বস্তি বাংলাদেশের জন্য। তবে মুস্তাফিজ কোনো কারণে ছিটকে গেলে বেগ পেতে হবে বোলিং বিভাগকে।
অবশ্য এসবের ভিড়ে বড় স্বস্তি, বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডে এসেছে স্থিরতা। ২০২৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই টিম কম্বিনেশন বিবেচনায় বাংলাদেশ খেলছে নির্দিষ্ট ছকে। দুই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আগে যা বেশ ইতিবাচক বার্তা দেশের ক্রিকেটের জন্য।