কোয়াব নিয়ে আর খোয়াব নয়, এবার হবে সংস্কার। সমালোচনায় জর্জরিত হয়েও নিশ্চুপ! ক্রিকেটারদের সুবিধা ও অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোয়াব গঠিত হলেও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই যেন নাম সর্বস্ব এ সংগঠনটি।
বিগত বছরগুলোতে কোয়াব কর্তাদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের দূরত্ব আড়ালে থাকলেও ২০১৯ সালের ক্রিকেটার্স ধর্মঘটে প্রকাশ্যে আসে চাপা অসন্তোষ। এরপরেও সংগঠনটির নেতৃত্বে আসেনি পরিবর্তন।
১১ বছর পর নাঈমুর দুর্জয়রা সরে দাঁড়ালে নতুন রূপে আসতে যাচ্ছে কোয়াব। যেখানে প্রতিনিধিত্ব থাকবে বর্তমান ক্রিকেটারদের।
কোয়াব সদস্য মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘এর আগে কখনো এভাবে কোয়াবের সঙ্গে কোনো খেলোয়াড়, বিশেষ করে কারেন্ট প্লেয়াররা কখনো এভাবে ইনভলব ছিল না। কারণ আমরা ফিল করতাম যে, যারা এর আগে দায়িত্বে ছিল, তারা আমাদের জন্য কাজ করবে। এই আশায়-ই কিন্তু আমরা লাস্ট ১৫ থেকে ২০ বছর বা ৩০ বছর তাদের ওপর নির্ভর করে সাফার করেছি। কোনো একজন ব্যক্তির কারণে ক্রিকেট থেমে থাকতে পারে না। ক্রিকেট যেহেতু আমাদের, তাই এটা সামনে না এগিয়ে গেলে এর দায়বদ্ধতাও আমাদের।’
কোয়াবের আসন্ন নির্বাচন ৪ সেপ্টেম্বর। গঠন হয়েছে ৩ সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। নাঈমুর-দুর্জয়রা একই সাথে বিসিবি ও কোয়াব দুইকূল রক্ষা করে চললেও আগামীতে সেই সুযোগ থাকবে না।
কোয়াবের আহ্বায়ক সেলিম শাহেদ বলেন, ‘কনফ্লিক্ট অব ইনটারেস্টের কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কোনো ক্রিকেট বোর্ড ডিরেক্টর এখানে ইলেকশন করতে পারবে না। আমাদের কোনো ঠিকানা ছিল না, এখন একটা ঠিকানা হয়েছে।’
স্থায়ী সদস্যের যে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন তবে নির্বাচনে ক্রিকেটারদের মনোনীত প্রার্থী কে হবেন সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলই।
মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নেবে কে এবং আমাদের মধ্যে কারা এটার হয়ে কাজ করবে এ সিদ্ধান্তগুলো আমরা নিজেরাই নিতে চাচ্ছি।’
চূড়ান্তভাবে প্রার্থীর নাম না বললেও ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন সম্ভাব্য সেই নামটা হতে পারে তামিম ইকবাল। এদিকে স্বস্তির খবর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিসিবিতে ঠিকানা পেতে যাচ্ছে কোয়াব।