শুরুটা অবশ্য করেছিলেন ট্রাভিস হেড এবং মিচেল মার্শ। দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে পুরো সিরিজে আসেনি রান। হেডকে নিয়েই সমালোচনা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেটার জবাব দিয়েছেন ব্যাট হাতে। দুজনের উদ্বোধনী জুটি ঠিক ২৫০ রানের। দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ওয়ানডে ইতিহাসে ঠিক ২৫০ রানের ওপেনিং জুটি এবারই প্রথম। আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৮মবার দুই ওপেনার পেয়েছেন সেঞ্চুরি।
মিচ মার্শ আউট হলেও রানের চাকা সচল রাখেন ক্যামেরন গ্রিন। সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনিও। শুরুর তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরির ঘটনা ক্রিকেট দুনিয়ায় ঘটলো দ্বিতীয়বারের মতো। এর আগে ২০১৫ সালে এমন কিছু করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকারই ব্যাটাররা। প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়া ইনিংস শেষ করেছে ৪৩১ রানে। তাতেই নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের দেখা পেয়েছে ছয়বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এর আগে ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ৪৩৪ রান করেছিল অজিরা। সেটিই এখন পর্যন্ত তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ব্যাটারদের উজ্জ্বল দিনে পিছিয়ে ছিলেন না কুপার কনোলি। বল হাতে এই লেগস্পিনার নিয়েছেন ৫ উইকেট। যেটা ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে ৫ উইকেট নেয়ার নতুন কীর্তি। সেইসঙ্গে ২২ রানে ফাইফার সম্পন্ন করে অজি স্পিনারদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারটাও নিজের করে নিয়েছিলেন কনোলি। পেছনে ফেলেছেন শেন ওয়ার্ন এবং ব্র্যাড হগের ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তিকে।
অজিদের দুর্দান্ত দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেছে ২৭৬ রানের বড় ব্যবধানে। একদিনের ক্রিকেটে প্রোটিয়াদের জন্য সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার এটিই। পেছনে পড়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ২৪৩ রানে হারের রেকর্ড। আর অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় এসেছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩০৯ রানের ব্যবধানে।
অবশ্য একদিনের ক্রিকেটের রেকর্ডবুকে অজিদের এই জয় দখল করেছে ৬ষ্ঠ স্থান। ২০২৩ সালে শ্রীলংকাকে ৩১৭ রানের ব্যবধানে হেরেছিল ভারত। সেটিই এখন পর্যন্ত আছে সবার ওপরে।