আগের দুই ম্যাচে সহজ জয়। ব্যাটারদের পরীক্ষা হয়নি সেভাবে। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে দেখা গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং দক্ষতা। তাতে দলের পাশ মার্ক উঠলেও এককভাবে কৃতিত্বটা পাবেন লিটন দাস। দুই নিয়মিত উদ্বোধনী ব্যাটারের অনুপস্থিতিতে সাইফ হাসানকে নিয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন টাইগার দলপতি। আর এরপর খেললেন রেকর্ডগড়া এক ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ১৩ ফিফটি ছিল সাকিবের। ডাচদের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে লিটন টপকে গেলেন সেই কীর্তি। পার্টনার সাইফ আউট হলেও ঝড়গতির ফিফটি এসেছে এলকেডি'র ব্যাট থেকে। ২৭ বলে ফিফটির পর থেমেছেন ৭৩ রান করে। লিটনের আউটের পর ব্যাটিং ইউনিটেও নেমেছে স্থবিরতা। তাওহীদ হৃদয়, শামীম পাটোয়ারিরা খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজে।
আরও পড়ুন:
অবশ্য অনেকদিন পর দলে ফেরা নুরুল হাসান সোহান এবং জাকের আলী অনিক শেষদিকে বাড়িয়েছেন রানের গতি। দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টির আগে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৬৪ রান।
সিলেটের মাঠে এরপরের চিত্রনাট্য কেবলই বৃষ্টির। একপর্যায়ে বৃষ্টি থেমে গেলেও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা বন্ধই রাখেন আম্পায়াররা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে মাঠ আর খেলার উপযুক্ত না হলে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
সিলেটে এর আগের দুই ম্যাচে বোলাররা ছিলেন ছন্দে। শেষ ম্যাচে ব্যাটারদের সক্ষমতা পরখ করে দেখাই ছিল বড় উদ্দেশ্য। বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় লিটনের রেকর্ড, সোহান-জাকেরের ক্যামিওটাই তাই সান্ত্বনা হয়ে থাকছে ক্রিকেটভক্তদের জন্য।