এশিয়া কাপে এটি বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হলেও হংকং নামবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারায় ম্যাচটি হবে হংকংয়ের জন্য টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াই।
অন্যদিকে এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আরব আমিরাতে গিয়েছে বাংলাদেশ। তাই লিটন দাসের দল চাইবে হংকংয়ের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিতে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান পাকা করতে। টাইগাররা টানা তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করে এসেছে এশিয়া কাপে। শেষ ৫ ম্যাচে ৪ জয়ের বিপরীতে লিটনরা হেরেছে মাত্র ১ ম্যাচে। তাই এই ম্যাচে জয় পেতে অনেকটা আত্মবিশ্বাসী থাকবে লিটন দাসের দল।
ক্রিকেটার লিটন দাস বলেন, ‘আমরা আমাদের সেরা খেলার চেষ্টা করবো। ম্যাচ জেতার চেষ্টা করবো। গরম সবার জন্যই সমান থাকবে। সেক্ষেত্রে আমাদের প্রিপেয়ার্ড থাকতে হবে কীভাবে আমরা আমাদের সেরা খেলা দিতে পারি।’
আরও পড়ুন:
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০ ওভারে মাত্র ৯৪ রান তোলে হংকং। বাংলাদেশে দলও চাইবে অল্প রানে দলটিকে বেধে রাখতে।
ফর্মে থাকা তাসকিন আহমেদ অবধারিতভাবেই পেস বোলিংয়ের নেতৃত্বে থাকবেন। অফ স্পিনার শেখ মাহদিকে দেয়া হতে পারে পাওয়ার প্লেতে বল করার দায়িত্ব। ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট মুস্তাফিজের সঙ্গে জুটি গড়তে পারেন আরেক পেসার তানজিম সাকিব। অন্যদিকে লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন হতে পারেন বাংলাদেশ দলের চমক।
বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটার তানজিদ তামিম ও পার্ভেজ ইমন আছেন ছন্দে। ওপিনিংয়ে দলের দায়িত্ব সামলাতে পারেন এ দুজন। লিটন দাসের শেষ ম্যাচগুলো তাকে দেবে আত্মবিশ্বাস। ডেথ ওভারে শামিম হোসেন ও জাকের আলির রান তোলার সক্ষমতা থাকায় মিডল অর্ডারের ভরসার নাম হতে পারেন এ দু’জন।
হংকংয়ের বিপক্ষে খেলার তেমন অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই দলটির বিপক্ষে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচটি অবশ্য জয় পায় হংকং। তবে এবারের ম্যাচে জয় দিয়ে সেই স্মৃতি কিছুটা হলেও ভোলাতে চাইবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।