এশিয়া কাপ: শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে সুপার ফোরের পথ কঠিন হলো বাংলাদেশের

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ
ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

তামিম-ইমন-লিটনদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ মিস এরপর শরিফুলদের আত্মসমর্পণ। ফলশ্রুতিতে ম্যাচের ৩২ বল বাকি থাকতেই বাংলদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এ হারে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ওঠার পথ কঠিন হলো বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুধু ম্যাচ জয়ই যথেষ্ট হবেনা লিটনদের জন্য তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের জয়-পরাজয়ের দিকেও।

বড় টুর্নামেন্টে আবারও চোক করল বাংলাদেশ। কদিন আগেই যে শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতেই সিরিজ হারিয়েছে লিটনরা, সেই লংকানদের বিপক্ষেই দেখা মিলল হতশ্রী বাংলাদেশের।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। স্কোরবোর্ডে কোনো রান না তুলতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটার তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন। পাওয়ারপ্লেতে এশিয়া কাপের ইতিহাসে এর আগে মেইডেন উইকেট নেয়ার ঘটনা ছিলো মাত্র ৪টি। তামিম-ইমনের উইকেট তুলে নিয়ে নুয়ান থুসারা আর দুশমন্থ চামিরা এক ম্যাচেই সেই সংখ্যাটা নিয়েছেন ৬-এ।

শুধু তাই নয় থুসারা-চামিরার বোলিং তোপে স্কোরবোর্ডের খাতা খুলতে লিটনদের লেগেছে ১৪ বল। জীবন পেয়েও খামখেয়ালি রান আউটে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তাওহীদ হৃদয়। হানিমুন পিরিয়ড শেষ হলেও প্রাণ ফেরার আভাস নেই হৃদয়ের ব্যাটে। ব্যাটিং অর্ডারে ওপরে ওঠালেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি শেখ মাহেদি। উল্টো দৃষ্টিকটু আউটে দলকে ঠেলে দিয়েছেন ভরাডুবির দিকে।

আরও পড়ুন:

গত কয়েক সিরিজ ধরেই নিয়মিত রান করছিলেন লিটন দাস। হংকংয়ের বিপক্ষেও হাকিয়েঁছেন হাফ সেঞ্চুরি। দ্রুত ৪ উইকেট হারানোর পর দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব পড়ে অধিনায়কের কাঁধে। কিন্তু বেশিক্ষণ ভার বইতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাসও। রিভার্স সুইপের চেষ্টায় উইকেটে সেট হয়েও হাসারাঙ্গাকে যখন উইকেট দিলেন বাংলাদেশকে তখন চোখ রাঙানি দিচ্ছে ১০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জা।

জাকের আলী আর শামীম পাটোয়ারীর ৬১ বলে ৮১ রানের জুটিতে সেই লজ্জার ফাঁড়া কেটেছে বটে কিন্তু সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা ফুটে উঠেছে স্পষ্টভাবে। জুলিয়ান উডের প্র্যাকটিস ক্লাসটা ম্যাচে আর কাজে লাগাতে পারেননি জাকের-শামীম। সেই জায়গায় ধরা পড়েছে ব্যর্থতা। অসহায় আত্মসমর্পণ বললেও ভুল হবে না।

নামমাত্র লক্ষ্য তাড়া করে শুরুতে ইচ্ছে করেই যেন রয়ে সয়ে খেলেছে লংকানরা। মুস্তাফিজের বলে কুশাল মেন্ডিস ফিরলেও রানের চাকা সচল রেখেছে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ২৮ রানের মাথায় সুযোগ তৈরি করেছিলেন শরিফুল। কিন্তু সহজ ক্যাচটা কীভাবে শেখ মেহেদির হাত ফসকালো সেই ব্যাখ্যাটা মেহেদি কি আদৌ দিতে পারবেন?

বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের সামান্য যা আশা ছিলো তা ওই ম্যাচ শুরু পর্যন্তই। তাওহীদ হৃদয়রা জীবন পেয়েও যেখানে হেলায় হারান সেখানে কামিল মিশারা ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নিশ্চিত করেছেন দলের জয়। আর শেষ দিকে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে মেহেদি-তানজিম সাকিবরা অপর্যাপ্ত স্কোরবোর্ডের দিকেই যেন আঙুল তুলেছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ এখন লিটনদের জন্য অলিখিত নক আউট। কারণ সুপার ফোরে যেতে হলে শুধু জয়ই যথেষ্ট নয়, নানা সমীকরণ আর নেট রান রেটের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে।

ইএ