একদিকে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ। অন্যদিকে বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের সহকারী কোচের ভূমিকায়। মোহাম্মদ আশরাফুলের সামনে আগামী কদিনের জন্য চ্যালেঞ্জ তাই একটু ভিন্ন। বিপিএলে নিজের দলের পাশাপাশি জাতীয় দলের ভাবনাটাও ভাবতে হচ্ছে আশরাফুলকে।
জাতীয় দলে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে নিয়মিত। তবে বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি কোচদের চাওয়াতে বদলে যেতে পারে ব্যাটারদের খেলার সমীকরণ। বাস্তবতা মেনে নিলেও আশরাফুল চান, দল পরিচালনায় ভাবনা থাকুক দেশের জন্যেও।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মাদ আশরাফুল বলেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে বসে, কোচদের সঙ্গে বসে তাদের প্ল্যানগুলো বলতে পারেন। এখন কোচরা যদি দেশের স্বার্থে চিন্তা করে তাহলে এটি একটি ভালো উদ্যোগ হবে।’
ব্যাটিং কোচ আশরাফুল বিশ্বাস করেন, ১২-১৩ ম্যাচের এ টুর্নামেন্টই ভালো ভিত গড়ে দিতে পারে বিশ্বকাপের কঠিন ম্যাচের সময়ে।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মাদ আশরাফুল বলেন, ‘টপে যেতে বিপিএলে যে ১০ থেকে ১২টি ম্যাচ খেলতে পারবে প্রতিটি প্লেয়ার। তারা যেন রাইট ট্র্যাকে থাকে। পারফরমেন্স যেন তাদের ভালো থাকে।’
টুর্নামেন্টের কেবল দেড় সপ্তাহ বাকি থাকলেও অনুশীলনে নামেনি কোনো দলই। রাজশাহী ওয়ারিয়র্স কোচ হান্নান সরকার আর রংপুরের আশরাফুল অবশ্য বিশ্বাস করেন, পরিকল্পনায় নেই কোনো ঘাটতি।
মোহাম্মাদ আশরাফুল আরও বলেন, ‘সাত উইক তারা ম্যাচ খেলেছেন। রেস্ট নেওয়াও ইম্পরট্যান্ট। প্রতিটি প্লেয়ার যেন রেস্ট নিয়ে বিপিএলে রেডি থাকে।’
রাজশাহী ওয়ারিয়ার্সের প্রধান কোচ হান্নান সরকার বলেন, ‘তারা খেলার মধ্যেই ছিলো। ইনডিভিজ্যুয়াল প্রিপারেশন নিয়া হয়েছে। শেষে টিমের জন্য যে সময় দেয়া হয়েছে সেটি ঠিকিই আছে।’
২৬ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলকে কেন্দ্র করে আগামী ২০ তারিখ থেকে ঢাকায় ক্যাম্প শুরু করবে কয়েকটি দল। এরপর বিশ্বকাপের জন্য ড্রেস রিহার্সেল হিসেবে দেড় মাসের বিপিএল। ঘরোয়া আসর থেকে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ কতখানি উপকৃত হবে, সেটা বোঝা যাবে কেবল মাঠের খেলাতেই।





