এক সময় চ্যাম্পিয়নস লিগে সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা ক্লাব ম্যানইউর স্বর্ণযুগ এখন অতীত। নিয়মিত বাজে পারফরম্যান্স করা যেনো এখন রেড ডেভিলদের নিত্য দিনের দৃশ্য। এই মৌসুমেও দেখা যায়নি তার ব্যতিক্রম।
প্রিমিয়ার লিগে ১৬তম স্থানে থেকে ঘরোয়া মৌসুম শেষ করতে যাওয়া ইউনাইটেডের জন্য ইউরোপা লিগ তাই শুধু একটি শিরোপার লড়াই নয়, সমালোচনা থেকে বাঁচার উপায়ও বটে। সেই সাথে চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহণের সুযোগ মানে শুধু সম্মান নয়, বরং এটি ক্লাবটির জন্য অর্থনৈতিক মুক্তিরও একটি পথ।
এই মৌসুমে ৩ বারের দেখায় ৩ বারই স্পার্সদের কাছে হেরেছে রেড ডেভিলরা। দুদলেরই অবস্থান এবার তলানিতে। ফুটবল অর্থনীতি বিশ্লেষক কিয়েরান ম্যাগুয়ের মনে করেন ধনী ক্লাব হিসেবে পরিচিত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এটি।
ম্যাগুয়েরের মতে, চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পেলে শুধুমাত্র টিকিট বিক্রি, সম্প্রচার স্বত্ব ও স্পনসর বোনাস থেকেই ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি আয় হতে পারে ক্লাবটির। আর যদি তারা প্রতিযোগিতায় সামনের দিকে গেলে আয় বাড়তে পারে আরও ৩০-৪০ মিলিয়ন পাউন্ড।
একই কথা টটেনহ্যামের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রয়োজনটা অনেক বেশি। গত বছরে স্পার্সের বার্ষিক লোকসান ছিল ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড, যেখানে ইউনাইটেডের ছিল ১১৩ মিলিয়ন।
গত তিন বছরে রেড ডেভিলরা মোট লোকসান করেছে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ড। এতো কিছুর পরও ৬৫১ মিলিয়ন পাউন্ড আয়ের মাধ্যমে গত বছর বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ আয় করা ক্লাব ছিল ইউনাইটেড। তবে ক্লাবের উপর ১ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি ঋণ।
তাই বুধবার রাতের ইউরোপা লিগ ফাইনাল শুধুই একটি ম্যাচ নয়, এটা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ।