ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিদেশে এখন
0

এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনকে মিথ্যা দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষুব্ধ হয়ে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সাবেক এ যৌন নিপীড়ক সম্পর্কিত আরও নথি প্রকাশে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ওয়াটারগেট স্ক্যান্ডালে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন রিচার্ড নিক্সন। মনিকা লেউইন্সকির সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে টালমাটাল হয়ে পড়ে বিল ক্লিনটনের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। নেটিজেনদের ধারণা, পূর্বসূরীদের দেখানো পথেই অগ্রসর হচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত নারী নিপীড়নকারী জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল। এ ঘটনায় বেজায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রুথ স্যোশালে এক পোস্টে প্রতিবেদনকে মিথ্যা দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি ঘোষণা দেন, মিথ্যা তথ্য প্রকাশের অভিযোগে শিগগিরিই গণমাধ্যমটির বিরুদ্ধে দায়ের করা হবে মামলা।

প্রতিবেদনে ক্ষুব্ধ হয়ে এপস্টেইন সম্পর্কিত আরও নথি উন্মুক্ত করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গেলো জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেয়ার আগেই এপস্টেইন ফাইলস উন্মুক্তের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, এই মামলায় নতুন করে বিশেষ প্রসিকিউটর নিয়োগ দেবেন না প্রেসিডেন্ট।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নতুন প্রসিকিউটর নিয়োগ দিচ্ছেন, এমন তথ্য গণমাধ্যমের সৃষ্টি। তবে প্রেসিডেন্ট বিশেষ প্রসিকিউটর নিয়োগ দিচ্ছেন না। সম্ভবত তিনি বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অবহিত করতে পারেন।’

কিশোরীদের পাচার ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ২০০৮ সাল থেকেই নিউইয়র্কের একটি কারাগারে ছিলেন মার্কিন এ ধনকুবের। বিচার চলার সময়ে ২০১৯ সালে কারাগারেই অস্বাভাবিকভাবে মারা যান তিনি। যাকে আত্মহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে একে হত্যা বলে দাবি করেন অনেকে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো মার্কিন এ ধনকুবেরের সঙ্গে ব্রিটেনের রাজপুত্র অ্যান্ড্রু, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ অসংখ্যবার তুলে এনেছে। যদিও ২০০৮ সালে আটক হবার পর এপস্টেইনের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেন ট্রাম্প। এমনকি এপস্টেইনের সঙ্গে কোনো অপরাধে জড়িত থাকার কথাও অস্বীকার করেন রিপাবলিকান এই নেতা।

দেড় সপ্তাহ আগে কারাগারে এপস্টেইনের আত্মহত্যার সময়কার ১০ ঘণ্টার ফুটেজ উন্মুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার দপ্তর। যদিও ৩ মিনিটের ভিডিও অনুপস্থিত থাকায় ডালপালা মেলে সন্দেহ। এপস্টেইন ফাইলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম থাকার বিষয়েও জোরালো হয় গুঞ্জন। যাতে ঘি ঢালার কাজ করেন ইলন মাস্ক। সাবেক ডজ প্রধান এপস্টেইন ফাইলে ট্রাম্পের নাম আছে বলে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকবার।

ইএ