আশা জাগিয়েও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২-১ হেরেছে বাংলাদেশ। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শুরু থেকে দেখা গেছে একাধিক ভুল পাসের মহড়া। আর যোগ্য ফিনিশারের অভাবতো ছিলই। তবে দিনশেষে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে রেফারির পেনাল্টি না দেয়ার সিদ্ধান্ত বড় বিষয় হয়ে উঠেছে জয়-পরাজয় নির্ধারণে।
৯৩ মিনিটে বা প্রান্ত থেকে আক্রমণে যাওয়া মোহাম্মদ ফাহিমকে আটকাতে মরিয়া চেষ্টা চালান ডিফেন্ডার ইরফান নাজিব। ঢাল হয়ে প্রথমে পেছন থেকে হাত দিয়ে টেনে ধরার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে সামনে পা বাড়িয়ে ফেলেই দেন আগুয়ান গতিতে থাকা ফাহিমকে।
বক্সের ভেতরে ফাউলের ক্ষেত্রে সাধারণত রেফারি সরাসরি পেনাল্টি কিকের বাঁশি বাজান। কিন্তু বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচে ঘটেছে উল্টো চিত্র। এ নিয়ে রেফারির সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে সমালোচনার।
শুধু তাই নয় ম্যাচে রেফারির আচরণে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ দলের ফুটবলার থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্ট পর্যন্ত। ম্যাচ রেফারির বিরুদ্ধে এএফসি কাছেও নালিশ দিতে আলোচনার হবে বাফুফের পরবর্তী বোর্ড সভায়।
জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘আমরা অবশ্যই অভিযোগ করবো। যতটুকু জানানোর, আমরা ততটুকু ম্যাচ কমিশনারকে জানিয়ে রেখেছি। তিনি বিষয়টি লিখিত রেখেছেন।’
ম্যাচে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে আরও একটি ঘটনা। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় পরিবর্তনে সময়ক্ষেপনের ঘটনা গ্যালারিতে বসা দর্শকের পাশাপাশি দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। শেখ মোরছালিন ও আল-আমিনকে মাঠে নামানোর সময় ঘটে এই ঘটনা।
সে সময়ও ম্যাচ বাংলাদেশের হাতের বাইরে চলে যায়নি। বদলি খেলোয়াড় নিয়ে নাটকে, খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকায় ভাটা পড়ে ম্যাচের গতিতে। এনিয়ে ম্যাচ অফিশিয়ালদের ভুলের কথা জানিয়েছেন দলের ম্যানেজার আমের খান।
আমের খান বলেন, ‘আমরা পরিবর্তনের জন্য সেখানে আগে গিয়েছেন, কিন্তু তাদের খেলোয়াড়কে আগে নামানো হয়েছে।’
এএফসিকে লিখিত অভিযোগ জানানোর পর কী সিদ্ধান্ত নেয় এশীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি, সেটি এখন দেখার অপেক্ষা।