একের পর এক প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে নিজেদের ক্লাব ইতিহাসের সেরা সময়টাই পার করছিল পিএসজি। ফ্রান্সের ঘরোয়া ফুটবলের সব শিরোপা নিশ্চিত করেছিল আগেই। সেই সঙ্গে অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শ্রেষ্ঠত্বও পেয়েছে সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে।
ক্লাব বিশ্বকাপেও প্রতিপক্ষকে অনেকটা উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে পা রেখেছিল লা-প্যারিসিয়ানরা। কিন্তু ফাইনালের বড় মঞ্চে তাদের বাস্তবতা চেনালো চেলসি। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লন্ডনের ক্লাবটির কাছে পিএসজি হেরেছে ৩-০ গোলে।
পুরো মৌসুমে সবমিলিয়ে মোট চারবার ইংল্যান্ডের ক্লাবের কাছে হারতে হয়েছে পিএসজিকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বে আর্সেনালের কাছে ২-০ গোলের হার দিয়ে শুরু। এরপর রাউন্ড অব সিক্সটিনে নিজেদের মাঠে লিভারপুলের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় তারা।
কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে ৩-২ ব্যবধানে হার দেখেছিল পিএসজি। অবশ্য এর কোনোটাই তাদের পথ আটকাতে পারেনি। দুই লেগ মিলিয়ে ইংলিশ ক্লাব অ্যাস্টন ভিলাকে হতাশ করেছিল প্যারিসিয়ানরা।
তবে ক্লাব বিশ্বকাপে হয়নি শেষ রক্ষা। ফাইনালে হারতে হলো চেলসির লং বল এবং কুইক ট্রানজিশন ফুটবলের কাছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর চিরায়ত গতিশীল ফুটবলের সামনে অনেকটাই বেসামাল ছিল এনরিকের প্রেসিং ফুটবল।
পুরো ম্যাচে মাত্র ৩৪ শতাংশ বল পায়ে রাখলেও চেলসির দ্রুতগতির আক্রমণগুলো ছিল অনেক বেশি কার্যকর। যেমনটা দেখা গিয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা কিংবা লিভারপুলের বিপক্ষেও। অবশ্য তুলনামূলক পজিশন ভিত্তিক ফুটবলের দল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ঠিকই সহজ জয় পেয়েছিল পিএসজি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্রুতগতির আক্রমণের কাছে হেরে শেষ হয়েছে পিএসজির এবারের যাত্রা। নতুন মৌসুমের আগে এমন কুইক ট্রানজিশনের ফুটবলের বিপক্ষে লুইস এনরিকে কীভাবে নিজের দলকে প্রস্তুত করবেন, সেটাই হবে তাদের নতুন চ্যালেঞ্জ।