পিছিয়ে পড়েও ঘুরে দাঁড়ানো যায়, হার না মেনে বুক চিতিয়ে লড়াই করা যায়— এটা প্রমাণ করে অনেকটা রূপকথার মতোই টটেনহ্যামের থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নিলো পিএসজি।
গত মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে গুঁড়িয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ পায় পিএসজি। একই মাসে ইউরোপা লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে ১৭ বছরের শিরোপা খরা কাটায় টটেনহ্যাম। তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে আরেকটি ট্রফি জয়ের খুব কাছে গিয়েও হতাশ হলো টমাস ফ্র্যাঙ্কের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন:
ইতালির উদিনে ব্লু এনার্জি স্টেডিয়ামে ৪৮ মিনিটে দুই গোল করে এগিয়ে ছিল ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর টটেনহ্যাম। স্পার্সদের হয়ে গোল করেছেন মিকি ভ্যান দে ভেন ও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। তবে বল দখলে একপেশে আধিপত্য ছিল পিএসজির।
দুই দফায় পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফিরতে মরিয়া ছিল পিএসজি। ৮৫ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার উইঙ্গার লি কাং-ইন বক্সের বাইরে থেকে জোরাল নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে উসমান দেম্বেলের ক্রসে হেড থেকে গোল করে সমতা ফেরান রামোস। কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই হৃদয় ভাঙে টটেনহ্যামের।
টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে পিএসজি। জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার জায়গায় আসা নতুন গোলরক্ষক লুকাস শ্যাভলিয়ের ঠেকিয়ে দেন ভ্যান দে ভেনের শট। এছাড়া টটেনহ্যামের মাথিয়াস তেল শট মারেন বাইরে।
অন্যদিকে ভিতিনিয়া পিএসজির প্রথম শট পোস্টে মারলেও, পরবর্তী চারজনই লক্ষ্যভেদ করেন। শেষ পর্যন্ত রূপকথার গল্পের মতো এক অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে সুপার কাপের মুকুট পড়লো লুইস এনরিকের পিএসজি।