দেশিয় ফুটবলে টার্ফের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। বেশ কিছুদিন ধরেই কমলাপুর ও বাফুফে সংলগ্ন আরামবাগ মাঠে চলছে টার্ফ বসানোর কাজ। অনেকটা ঢিমেতালে চললেও এবার পুরোদমে চলছে প্রস্তুতি।
ঝড়-বৃষ্টি কিংবা রোদের সাথে নিয়মিত সখ্যতা ফুটবল মাঠের। দেশের ফুটবলে বহুল পরিচিত জাতীয় স্টেডিয়ামের মাঠের কাজ নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। পাঁচ বছর ধরে মাঠের প্রস্তুতি চললেও এখনো বাকি সংস্কার কাজ।
জাতীয় স্টেডিয়ামের পাশাপাশি বাফুফে ভবন সংলগ্ন মাঠে পুরোদমে চলছে টার্ফ বসানোর কাজ। ৩১ তারিখের মধ্যে পুরোপুরি খেলার উপযোগী হবে মাঠ।
গ্রিনফিল্ডস ইউরোপের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘আপনারা জানেন এটার সাববেইজের কাজ শেষ। ফিফা থেকে সাববেইজের যে টেস্ট অ্যাপ্রুভাল ছিল সেগুলো আমরা পেয়ে গেছি। অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর পর আমরা টার্ফ লেআউট শুরু করে দিয়েছি। আমরা আশা করছি আজকে যেমন আবহাওয়া দেখছি তা থাকলে আর পাঁচ ছয়দিনের কাজ আছে।’
কমলাপুর মাঠে ইরিগেশন সিস্টেম থাকলেও আরামবাগ মাঠে নেই সেচ ব্যবস্থাপনা। সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হলেই পুরোপুরি হবে টার্ফ লের কাজ।
সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘কমলাপুর টার্ফেরও সাববেইজের কাজ হয়ে গেছে। সেটাও আমরা ফিফার অ্যাপ্রুভাল পেয়ে গেছি। ১ তারিখের মধ্যে আমরা এটার লে করা শেষ হলে ওখানে শুরু করে দিব।’
ফিফার স্ট্যান্ডার্ড টার্ফ হওয়ায় খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে পড়ার ঝুঁকিটাও খুব কম। আছে শক অ্যাবসর্ব সিস্টেম ও রাবারের ব্যবহার।
আগের টার্ফ ১৪ বছর স্থায়ী হলেও নতুন টার্ফের স্থায়িত্ব নির্ভর করবে মূলত রক্ষণাবেক্ষণের ওপর। কমলাপুরের টার্ফেও বাকি ২০/২৫ দিনের কাজ, তবে বৈরী আবহাওয়ায় কিছুটা চ্যালেঞ্জও রয়েছে।