বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত হয়েছে আগেই। বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচের ফলাফল যাই হোক, নিজেদের অঞ্চলে শীর্ষেই থাকবে আর্জেন্টিনা। এমন এক অবস্থানকে সামনে রেখে স্কোয়াড নিয়ে খানিক পরীক্ষাই করেছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। যদিও সেটা খুব একটা সুখকর অভিজ্ঞতা দেয়নি বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। লিওনেল মেসিবিহীন দলটা ভুগতে হয়েছে প্রায় পুরো ম্যাচজুড়েই।
আরও পড়ুন:
লাতিন অঞ্চলের লড়াইয়ে প্রায় ১০ বছর ধরে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি ইকুয়েডর। দীর্ঘদিনের সেই খরাও ঘুচিয়েছে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে এনার ভ্যালেন্সিয়ার একমাত্র পেনাল্টি গোলে পিচিঞ্চা স্টেডিয়াম থেকে হার নিয়ে ফিরতে হচ্ছে আলবিসেলেস্তেদের।
শুরু থেকেই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের খেলা দেখা গেলেও গোলের মতো পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরি করতে পারেনি দুই দলের কেউই। বল দখলের লড়াইয়ে আর্জেন্টিনা পুরোটা সময় এগিয়ে থাকলেও গোলে শট নেয়ার বিচারে ইকুয়েডরই দেখিয়েছে আধিপত্য। পুরো ম্যাচে মোট ২৩ ফাউল এবং সাত কার্ড খেলার সৌন্দর্য থামিয়েছে বারবার। লালকার্ড হজম করেছেন আর্জেন্টিনার নিকোলাস ওতামেন্দি এবং ইকুয়েডরের মইসেস কেইসেদো।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য আক্রমণের ধার বাড়িয়েছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। তবে প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভেদ করা সম্ভব হয়নি আকাশী-সাদাদের। ম্যাচে মোট আটবার গোলে শট নিলেও একবারও বল লক্ষ্যে রাখা হয়নি তাদের।
ম্যাচ হারলেও অবশ্য লাতিন অঞ্চলে সবার ওপরে থেকেই বিশ্বকাপে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। তবে মেসিবিহীন আর্জেন্টিনার জন্য সামনের দিনগুলোতে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, সেটাই যেন জানিয়ে রেখেছে এই হার।