২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র: সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া

২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র-কে ঘিরে সমর্থকরা বেশ উচ্ছ্বসিত
ফুটবল
এখন মাঠে
0

যুক্তরাষ্ট্রে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ফয়সালা সম্পন্ন হয়েছে। ৪৮ দলের আসরে প্রথমবার খেলতে আসবে বেশ কিছু দেশ, যা নিয়ে উন্মাদনায় ভাসছেন সে দেশগুলোর সমর্থকরা। ফেভারিট দলগুলোকে নিয়ে ভক্তদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

গ্রুপিং চূড়ান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বেজে উঠেছে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের দামামা। যে দেশে, যে সময়েই আসরটি মাঠে গড়াক না কেন-ফুটবলের উৎসব ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। আর এবার সেই উৎসবে নতুন রঙ যোগ করেছে হাইতি, কুরাসাওসহ প্রথমবারের মতো বিশ্বমঞ্চে পা রাখা দলগুলো।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল আসরকে সামনে রেখে আয়োজক দেশগুলোতে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। ড্র শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সমর্থকরা গ্রুপিং নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সমর্থকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমি মনে করি যদি ইতালি মূল পর্বে ওঠে তাহলে আমাদের চিন্তিত হওয়া উচিত। কারণ এটা খুবই কঠিন প্রতিযোগিতা হবে। ইতালি আর সারা বিশ্বের ভক্তদের কারণে তখন আমাদের শহর সম্পূর্ণভাবে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠবে । টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার জন্য আমি সত্যিই উচ্ছ্বসিত।’

বিশ্বকাপ ফুটবলে সর্বাধিক ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। তুলনামূলক সহজ গ্রুপ পেলেও প্রতিপক্ষদের নিয়ে সতর্ক দলের হেড কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

কার্লো অ্যানচেলত্তি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে খুবই শ্রদ্ধা করি। তারা শক্তিশালী। ২০২২ বিশ্বকাপে খুবই ভালো করেছে মরক্কো। তারা এখন খুব ভালো খেলছে। তারা একটি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী দল। স্কটল্যান্ডও ইউরোপিয়ান কোয়ালিফায়ারে ভালো খেলেছে। তারা বিশ্বকাপে আসার যোগ্য। আমরা যেমন মরক্কোর প্রতি শ্রদ্ধা রাখি, তেমনই স্কটল্যান্ড ও হাইতির প্রতিও আমাদের একইভাবে শ্রদ্ধা থাকা উচিত।’

আরও পড়ুন:

আসরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে চেয়েছেন সেলেসাও ভক্তরা। অন্যদিকে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সমর্থকরা টুর্নামেন্টে ভালো শুরুর স্বপ্নে বিভোর। পর্তুগালের ম্যাচ দেখতে যেকোনো জায়গায় ছুটে যেতে চান ভক্তরা।

ভক্তদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমি ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বকাপ দেখছি। কিন্তু এখনো বিশ্বকাপে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার খেলা দেখার সুযোগ পাইনি। ব্রাজিলিয়ান হিসেবে আমি মনে করি এটা চমৎকার হবে। আমাদের জন্য এটি সবচেয়ে বড় খেলা।’

আরেক ভক্ত বলেন, ‘আমি কলম্বিয়া ও পর্তুগালকে দেখতে ভীষণ উচ্ছ্বসিত। এটা আমার প্রিয় ম্যাচগুলোর একটি, যা আমি দেখতে চাই।’

ফুটবল বিশ্বকাপ শুধু পরিচিত শক্তিগুলোর লড়াই নয়, বরং নবাগতদের স্বপ্নপূরণের গল্পও বটে। মাত্র দেড় লাখ জনসংখ্যার কুরাসাও এরই মধ্যে টুর্নামেন্ট নিয়ে আনন্দে ভাসছে। তুলনামূলক কঠিন সব প্রতিপক্ষকে নিয়েও চিন্তিত নয় সমর্থকরা।

কুরাসাওয়ের এক সমর্থক বলেন, ‘আমরা গ্রুপ ‘ই’ তে জার্মানি, আইভরি কোস্ট এবং ইকুয়েডরের সঙ্গে আছি। আমার মনে হয় এটা দারুণ হতে চলেছে। অনেক কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে, কিন্তু আমরা এ নিয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত।’

বিশ্বকাপ ফুটবল মানেই নতুন দলগুলোর স্বপ্নযাত্রা, পুরনো শক্তিগুলোর লড়াই আর কোটি ফুটবল ভক্তদের আবেগ এক বিন্দুতে মেলা। ড্র শেষে এখন অপেক্ষা মূলপর্বের। যেখানে ফুটবলের সবুজ গালিচায় আরেকটি রঙিন গল্পের অপেক্ষায় পৃথিবী।

এসএইচ