জাতীয় দলের হকি খেলোয়াড় তৈরি হওয়া ক্লাব বেহাল দশায়

সিলেটের মৌসুমি ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংস্থায় হকি খেলছেন স্থানীয় খেলোয়াড়রা
অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

ক্রিকেট-ফুটবল নিয়ে মাতামাতির দেশে হকির নামে এলাকার নামকরণ! বিস্ময়কর এই ঘটনাই ঘটেছে সিলেটে। স্থানীয় হকি ক্লাব মৌসুমীর নামে নামকরণ করা হয়েছে একটি এলাকার। এই একটা ক্লাবই যেন বাঁচিয়ে রেখেছে পুরো জেলার হকিকে। যদিও একসময় জাতীয় দলের খেলোয়াড় তৈরি হওয়া ক্লাবটির এখন বেহাল দশা।

৩৬০ আউলিয়ার দেশ, চায়ের দেশ কিংবা দু'টি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ, কত নামেই না আমরা সিলেটকে চিনি! সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি ক্রীড়াঙ্গনের জন্যও উর্বর। এখান থেকে উঠে এসেছেন ক্রিকেট ও ফুটবলের অনেক রথী-মহারথী।

তবে ক্রিকেট-ফুটবলের গণজোয়ারের মাঝেও আলাদা করে চোখ যায় সিলেটের মৌসুমী আবাসিক এলাকায়। এই এলাকাটি গড়ে উঠেছে একটি হকি ক্লাবের নামে।

স্থানীয় ছেলে-বুড়ো সবার ভালোবাসা হকির প্রতি। আশির দশকে গড়ে ওঠা মৌসুমি ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংস্থা ক্লাবটি যেন আগলে রেখেছে পুরো জেলার হকিকে।

মৌসুমি ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা শরফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'এখানে এক সময় জেলা টিমের খেলোয়াড় ছিল, জাতীয় দলেও খেলতো। ওদের হাত ধরেই হকিতে আমাদের হাতে খড়ি। তারা আমাদের হকি খেলা শেখায়। আমাদের এলাকায় আমরা যারা সেসময় যুবক ছিলাম, তারা ধীরে ধীরে খেলা শিখেছি। এরপর ক্লাব হলে, আমরা সেই ক্লাবের নাম দেই মৌসুমী ক্লাব এবং এই নামে আমাদের আবাসিক এলাকারও নাম দেই।'

জুম্মন লুসাইয়ের শহরের এই ক্লাব থেকেই জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন একাধিক খেলোয়াড়। এমনকি বর্তমানে জেলা ও দেশের শীর্ষ লীগেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই মাঠের ছেলেরাই। ছোট্ট মাঠে অনুশীলন করেই জেলা হকি লিগে টানা ১৯ বারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। যদিও জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে তাদের স্বপ্নটা বেশ বড়।

একজন ক্ষুদে হকি খেলোয়াড় বলেন, 'আমি এখান থেকে খেলা শিখেছি, এখন বিকেএসপিতে ট্রায়াল দিচ্ছি। বিকেএসপিতে সুযোগ পেলে আমি জাতীয় পর্যায়েও খেলতে চাই।'

মৌসুমি ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক চৌধুরী বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য, আমরা যেন আরো বেশি খেলোয়াড় তৈরি করতে পারি এখান থেকে। আর এখানে যারা হকি খেলে তাদেরকে উৎসাহ দেয়ার জন্য এটা করা প্রধানত।'

তবে স্বপ্নের পথে বাধা নানামুখী প্রতিবন্ধকতা। তাই খেলোয়াড় ও কর্তাদের চাওয়া দ্রুততর সমাধান।

এসএইচ