উন্নত প্রশিক্ষণে মন্ত্রণালয়ের দেয়া অর্থ এখনো পৌঁছায়নি খেলোয়াড়দের কাছে!

অনুশীলন করছেন জাতীয় নারি কাবাডি দলের খেলোয়াড়রা
অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

নারী কাবাডি দলের খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া অর্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাছ থেকে এখনও পায়নি কোচ ও খেলোয়াড়রা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (অর্থ) হুমায়ুন কবির জানান, খেলোয়াড়রা এই অর্থ আগামী সোমবারের (৫ মে) মধ্যে বুঝে পাবেন ফেডারেশনের মাধ্যমে।

কাবাডির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ওনারা তো দিয়েছেনই টাকাটা আমাদেরকে ওদের ক্যাম্পেইনে খরচ করার জন্য। পুরো টাকাটাই ওনারা যে নেপালে গেল বা যাচ্ছে, এখনও যে খরচ হচ্ছে, সব এখান থেকেই হচ্ছে।’

নারী কাবাডি দলের প্রশিক্ষণের অর্থ নিয়ে ধোঁয়াশা। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক টাকা ব্যয়ের কথা বললেও এখনও সে টাকার বিষয়ে কিছুই জানেন না খেলোয়াড় থেকে কোচ কেউই।

মার্চে ইরানে এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জয়ে বাংলাদেশ দলকে ২৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেয় যুব এবং ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। মূলত নারীদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্যই এই অর্থ দেয় মন্ত্রণালয়। তবে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের কথায় এমন গরমিল থাকায় সত্যতার খোঁজে এনএসসির দুয়ারে কড়া। তবে ফোনের ওপারের জবাব শুনে আকাশ থেকে পড়ার মতো অবস্থা। ফেডারেশনকে সে অর্থ এখনও বুঝিয়েই দেয়নি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

ফোনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (অর্থ) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এখনো হয়নি। এটা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছি আমরা, আগামী রোববার বা সোমবার নাগাদ পেয়ে যাবে। ফেডারেশন সেটা ডিস্ট্রিবিউট করবে। প্লেয়ারদেরকেও দেবে বা কোচ ইনক্লুড করে, এটা তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের এমন কাণ্ডের কোন সদুত্তর মেলেনি। সঙ্গে যোগ হয়েছে নানান প্রশ্ন। কাবাডি বিশ্বকাপের জন্য নারীদের হাতে এক মাসের মতো সময় থাকলেও জীর্ণ শীর্ণ এমন জায়গায় জিম, সুইমিংয়ের সুযোগ সুবিধা ছাড়াই নিতে হচ্ছে প্রস্তুতি। তাতে কতটা প্রস্তুতি নিতে পারছেন খেলোয়াড়রা?

বাংলাদেশ নারী কাবাডি দলের কোচ শাহনাজ মালেকা পারভীন বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশে ক্যাম্প করলে চলবে না, আমাদের ক্যাম্পটা আসলে দেশের বাইরে করানো উচিৎ, দুই-তিন ম্যাচ বা প্র্যাকটিস ম্যাচ, আমাদের খেলতেই হবে এটার কোনো বিকল্প নেই। চেষ্টা করছি যে মেয়েরা ভালো করবে। আমাদের আসলে আরো প্র্যাকটিস ম্যাচের দরকার আছে।’

এমনকি নারী কাবাডিকে এগিয়ে নিতে নেই শক্তিশালী কোনো পাইপলাইনও। দীর্ঘদিন ধরে হয় না জাতীয় প্রতিযোগিতাও।

বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘আপনি যদি হান্টিংয়ে পাইপলাইনে খেলোয়াড় না রাখতে পারেন, স্ট্রাকচারাল যদি আপনি ধরে রাখতে না পারেন, তাহলে কাবাডি কিন্তু আপনি আর একটা পর্যায়ে খুঁজে পাবেন না। তো সেক্ষেত্রে আপনাকে স্কুল থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে নার্সিং করতে হবে। তবে ঐ প্ল্যান আমরা করছি, সিলেকশন করছি, এবং আমরা সেভাবে কাজ করছি।’

এমন যদি হয় অ্যাডহক কমিটির হাল তবে প্রত্যাশার কতটুকু পূরণ হবে সেই প্রশ্ন কাবাডি সংশ্লিষ্টদের মনে।

এসএইচ