ঘরে বসে চলেছে নিঃশব্দ যুদ্ধ, দাবার ছকে গড়ে উঠছে নতুন গৌরব। চালের পর চাল.বোর্ডজুড়ে লড়াই. শুধু জয় নয়, স্বপ্নের সিঁড়ি গড়া ভিন্ন প্রজন্মের।
দেশের অন্যতম কিংবদন্তি প্রয়াত গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের স্মৃতিকে ধরে রাখতে দাবা ফেডারেশনের সহযোগিতায় ভিন্ন টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। যার স্বপ্নদ্রষ্টা গ্র্যান্ডমাস্টারের পরিবার।
প্রয়াত গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী তাসমিন সুলতানা বলেন, ‘শুরু করার পিছনে আমার ছেলের আসলে চিন্তাভাবনা ছিল। ছেলে বলছিল যে বাবাকে সবাই ভুলে যাবে মা। তো আব্বুর নামে যদি প্রতিবছর বাংলাদেশে একটা টুর্নামেন্ট করি যেদিন বাবা মারা গেছেন। তো এদিকে আমি দাবা ফেডারেশনের সাথে কথা বললাম। ওনাদেরও সহযোগিতা পেলাম সম্পূর্ণ।’
পরিকল্পনা ছিলো বড়। সময়ের স্বল্পতায় মন মতো আয়োজন করতে পারেননি, তবে এই টুর্নামেন্ট নিয়েই দারুণ পরিকল্পনা জিয়া পত্নীর।
তাসমিন সুলতানা বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম জিএম এবং আইএম একটা পসিবিলিটি থাকবে। এজন্যই ওভাবে চিন্তা করে আমরা প্রাইজ মানি সেটেল করেছিলাম।’
দেশের কোনো প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথম বড় অঙ্কের প্রাইজমানি থাকছে। আর এমন আরো আয়োজন চান উঠতি দাবাড়ুরা।
উইম্যান ক্যান্ডিডেট মাস্টার নুসরাত জাহান আলো বলেন, ‘সচরাচর বাংলাদেশে টুর্নামেন্ট খুব কমই হয়। জেলার বাইরে তো হয়ই না। আর হলেও কম আর কি। তো টুর্নামেন্ট টা বেশি রাখার আশা করবো।’
ইফতেখার আলম নামের একজন দাবাড়ু বলেন, ‘একটা ভালো মানের টুর্নামেন্ট গত ৫ থেকে ১০ বছরে এ প্রথম দেখছি। ওনার নামের এ টুর্নামেন্ট খেলতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমি আশা করি ভবিষ্যতেও এ টুর্নামেন্ট কন্টিনিউ হবে।’
এবারের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ৬৬ জন দাবারু অংশ নিয়েছেন। ৯ রাউন্ড সুইস লিগ পদ্ধতির টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ১১ জুলাই।