ভারতে এশিয়া কাপ হকি থেকে সরে দাঁড়ালো পাকিস্তান, সুযোগ বাংলাদেশের

বাংলাদেশ হকি দলের অনুশীলন
অন্য সব খেলা
এখন মাঠে
0

ভারতে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা শঙ্কায় এশিয়া কাপ হকি থেকে নাম প্রত্যাহার করেছে পাকিস্তান হকি ফেডারেশন। তাতে আসরে খেলার সুযোগ মিলেছে বাংলাদেশের। তবে ২৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া আসরে বাংলাদেশের অংশ নেয়া এখনও নিশ্চিত নয়— জানায় বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। যদিও এ আসরে খেলে বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করার সুযোগ হাতছাড়া করা বোকামি হবে বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং কোচরা।

ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বৈরীতার প্রভাব বরাবরই আঁচড় কাটে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। গেলো দুই যুগ ধরে ক্রিকেটে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামেনি ভারত এবং পাকিস্তান। এমনকি আইসিসি এবং এশিয়ার কোনো টুর্নামেন্ট দু’দেশের কেউ আয়োজক হলে জলঘোলা কম হয় না। এবার ক্রিকেট নয়, হকিতে এসে পড়লো দু’দেশের দ্বৈরথের সেই আচ।

নিরাপত্তা শঙ্কাতে এশিয়া কাপ হকি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান হকি ফেডারেশন। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের কাছে চিঠিও দিয়েছে তারা।

অবশ্য দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপড়েনে ভাগ্য খুলেছে বাংলাদেশের। এবার আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন ছাড়াই এত বড় মঞ্চে খেলার সুযোগকে কাজে লাগানোর পরামর্শ জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং কোচ মামুন উর রশিদের।

বাংলাদেশ হকি দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং কোচ মামুন উর রশিদ বলেন, ‘পাকিস্তান না খেলায় একটা সুযোগ এসেছে। তো আমার মনে হয়, যাওয়া উচিত। যদিও এ কথা বলতে গেলে ফেডারেশন বলবে যে, আমাদের ফান্ড নেই। ফান্ড নেই, সেটা কোনো এক্সকিউজ হতে পারে না। আপনারা যেহেতু সাংগাঠনিকভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন, ফান্ডের জন্য অবশ্যই আপনাদের একটা পলিসি বের করতে হবে।’

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অভিষেক হয় ১৯৮২ সালে। এরপর খেলে ১১ টি আসর। তবে সর্বোচ্চ সাফল্য বলতে আসরে পঞ্চম অবস্থান। আসন্ন আসরের জন্য মৌখিক আমন্ত্রণে ২৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বড় এই আসরে অংশগ্রহণ নিয়ে সন্দিহান দেশের ফেডারেশন।

হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কর্নেল রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘একটা ন্যাশনাল টিম তৈরি করা হলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটাকে চ্যালেঞ্জ বলবো নাকি ইমপসিবল একটা টাস্ক বলবো— আমি বুঝতে পারছি না। আমরা তো ক্যাম্প কলও করতে পারি না, কারণ আমরা তো জানি না যে আমরা যাবো কি না। মানে ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ খেলোয়াড় নিজেদেরকে ফিট রাখে না। কিন্তু অনেকগুলো কাজ আছে এখানে। সবচেয়ে বড় কাজ হলো, ভিসা নেয়া, ইনভাইটেশন কার্ড আনা। এটাতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় চলে যায়।’

সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হকি খেলোয়াড়দের বড় এ আসরে লড়াইয়ে সুযোগ মিলবে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন থেকে যায়। তবে বড় কিছু অর্জনে পাল্টে যেতে পারে দেশের ফেডারেশনের বর্তমান নড়বড়ে এ অবস্থাও।

এসএইচ