
মোহাম্মদপুরবাসীর ভোগান্তি কমাতে রাস্তা মেরামত শুরু সিটি করপোরেশনের
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও এর আশপাশের বাসিন্দাদের জনভোগান্তি কমাতে সড়ক বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে সমন্বয় করে রাস্তা মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

পটুয়াখালীতে ভাঙছে বেড়িবাঁধ, পানি বৃদ্ধিতে স্থানীয়রা হারাচ্ছেন ভিটেমাটি
বর্ষার শুরুতেই পটুয়াখালীর বিভিন্ন নদ-নদীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পানি। এতে ধারাবাহিকভাবে ভাঙছে বেড়িবাঁধসহ স্থানীয়দের ভিটেমাটি। জমির ফসল রক্ষা ও নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের দাবি ভুক্তভোগীদের। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, ভাঙন রোধে জরুরিভাবে কাজ করা হচ্ছে।

নিম্নচাপে বিপর্যস্ত উপকূলের বাসিন্দারা
নিম্নচাপের প্রভাবে ফুঁসে ওঠা নদ-নদীর তীব্র ভাঙ্গনে পটুয়াখালীতে প্রায় ৫০০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিধ্বস্ত হয়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন উপকূলের বাসিন্দারা। চাঁদপুরে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানি বাড়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। হাইমচর উপজেলার মহরমপুর, চরভাঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রামে রাতভর একটানা ভারি বৃষ্টিতে নগরীর বেশ কিছু এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা।

চট্টগ্রামে বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকেছে লোকালয়ে
চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি ঢুকেছে লোকালয়ের কয়েকটি গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, প্রবল জেয়ারে বাঁশখালীর ছনুয়া, গন্ডামারা, খানখানাবাদ, পুকুরিয়ায় বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এতে স্থানীয় লবণ মাঠ পানিতে ভেসে যায়।

জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কায় উপকূলবাসী; তলিয়ে গেছে কয়েকটি নিম্নাঞ্চল
অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় ১৪ জেলায় ২ থেকে ৪ ফুটের বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতেই উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গতকাল (বুধবার, ২৮ মে) রাত থেকেই চলছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। এরই মধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত বেশকিছু নিম্নাঞ্চল। এতে উপকূলবাসীরা পড়েছেন বিপাকে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বজ্রপাতে ধানকাটার এক শ্রমিকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ (রোববার, ১১ মে) দুপুরে উপজেলার টেকানগর ও গোকর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঝুঁকিতে বরিশালের ১৯৭ কিলোমিটার উপকূলীয় বাঁধ, শঙ্কায় স্থানীয়রা
বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকার ১৯৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উচ্চ গতির ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে এসব বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পরতে পারে পানি। এতে ক্ষতির আশঙ্কা স্থানীয়দের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এ ব্যাপারে প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদিত হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

চট্টগ্রামে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক কলেজ ছাত্রী।

কুয়াকাটায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে
ঘূর্ণিঝড়, জোয়ার, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব স্থানে সবসময়ই ফাটলের শঙ্কায় থাকেন স্থানীয়রা। এছাড়া সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে যাচ্ছে সৈকতের বিভিন্ন স্থান। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, কুয়াকাটার বেড়িবাঁধ ও সৈকত রক্ষায় উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

অরক্ষিত অবস্থায় পিরোজপুরের ৪৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ
দীর্ঘদিনেও হয় নি মেরামত
সিডর, আইলা, রিমালের মতো শক্তিশালী ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দীর্ঘদিনেও মেরামত হয়নি পিরোজপুরের বেড়িবাঁধ। জেলার অন্তত ৪৫ কিলোমিটার বাঁধ অরক্ষিত অবস্থায়। টেকসই বাঁধ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন নদীতীরের অসংখ্য মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি সাইক্লোন সহনীয় বাঁধ নির্মাণে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

উপকূলবাসী আজও ভুলতে পারেনি সত্তরের ভয়াল ১২ নভেম্বর
ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ। ১৯৭০ সালের এদিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গোর্কির আঘাতে দক্ষিণাঞ্চলের ১০ লাখেরও বেশি ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩৬ লাখ মানুষ। শুধু ভোলাতেই মারা যায় অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ। সে ঘটনার ৫৪ বছর পার হলেও হয়নি স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ
ঘূর্ণিঝড় 'দানা' সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কা না থাকলেও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ। অন্তত নয়টি পয়েন্টে ছয় কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য জলোচ্ছ্বাসের এসব পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে দুই উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ।