২০১৭ সালে গ্যাস অনুসন্ধান প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামে। আজারবাইজানের সকার প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করলেও শেষ না করেই চলে যায় প্রতিষ্ঠানটি। পরে ১৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু করে বাপেক্স।
জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপটির গভীরতা দুই হাজার ৮০০ মিটার। কূপে গ্যাস পেলে উত্তোলন যোগ্য গ্যাসের পরিমাণ হবে ৪০০ বিসিএফ। সেই হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন এখান থেকে ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। ভোক্তা পর্যায়ে যার বাজার মূল্য ১৬ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা।
স্থানীয়রা জানান, কূপ থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস উত্তোলন শুরু হলে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে।
চলতি বছরের এপ্রিলে শেষ হবে কূপের খনন কাজ। গ্যাস পাওয়া গেলে আশপাশে আরও কূপ খনন করা হবে। আনুমানিক চারটি কূপ খনন করলে একটিতে গ্যাস পাওয়া যাবে বলে জানান বাপেক্সের এই কর্মকর্তা।
জামালপুর-১ গ্যাস খনন প্রকল্পের খনন অধিকর্তা মো. রকিবুল হাসান বলেন, ‘এখানে আমরা ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এখান থেকে গ্যাস পাওয়া গেলে এলাকার অধিবাসীদের জীবনযাত্রার মান বাড়বে।’
সারাদেশে আগামী দুই বছরে নতুন আরো ১০০টি কূপ খনন করা হবে, পাশাপাশি ৩১টি গ্যাস কূপ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ফলে বন্ধ হওয়া শিল্প কারখানা চালু করা সম্ভব হবে বলে জানান জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব।
সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা আরো একশো কূপ খনন করবো। এছাড়াও এ সময়ের মধ্যে আগের ৩১টি কূপ আমরা সংস্কার করবো। যাতে গ্যাসের ফ্লো বাড়ে।’
কূপ থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া গেলে উত্তোলন করা যাবে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ বছর।