কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বেড়ে ২১২ মেগাওয়াট

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র
এখন জনপদে
1

কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। দৈনিক সর্বোচ্চ ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট হতে ২১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। এর পুরোটাই যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে। আজ (বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

এর আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি স্বল্পতায় গেল কয়েকমাস ধরে ১টি ইউনিট চালু রেখে মাত্র ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছিলো। তবে বৃষ্টিপাতে হ্রদে পানি বাড়ায় গেল ২ জুন কেন্দ্রের ৪টি ইউনিট হতে ১৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। যা সর্বশেষ আজ ২১২ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘বুধবার (৯ জুলাই) রাত ৮ টায় কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট একসাথে চালু করা হয়েছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ২১২ মেগাওয়াট। এরমধ্যে ১ ও ২ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিটি ৪৬ মেগাওয়াট করে এবং ৩, ৪ ও ৫ নম্বর ইউনিট থেকে প্রতিটি ৪০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।’

মূলত, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। তবে রাঙামাটিতে গেল শুক্রবার থেকে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। একসঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা ভারতের পাহাড়ি ঢলে বৃদ্ধি পেতে থাকে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা। এতে পানির উপর নির্ভরশীল এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট হলেও সর্বোচ্চ ২৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দেখিয়েছে। তবে শুষ্ক মৌসুমে হ্রদের পানির স্তর কমে গেলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভাটা পড়ে। তখন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে পর্যায়ক্রমে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হয়।

আর এ উৎপাদন সর্বনিম্ন ২৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত ঠেকেছে। পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রকৃতি নির্ভর এ পানির যোগান স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

এএইচ