আজ (রোববার, ২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবন থেকে শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে কলেজ প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত সরকার ম্যাটস শিক্ষার্থীদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন প্রদান শুরু করেছে, যা তারা বেআইনি ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন। তাদের ভাষায়, আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছি, অথচ আমাদের দাবি উপেক্ষা করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ১. এমবিবিএস ও বিডিএস ব্যতীত কেউ ডাক্তার লিখতে পারবে না বিএমডিসি’র উক্ত আইনের বিরুদ্ধে করা রিট ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে ও বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন শুধু এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রিধারীদের দিতে হবে। ২০১০ সালে হাসিনা সরকার ম্যাটসদেরকে বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া শুরু করেছে, এই ম্যাটসদের বিএমডিসি থেকে রেজিস্ট্রেশন দেয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
২. উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করতে হবে। এমবিবিএস ও বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি ড্রাগ লিস্টের বাইরে ড্রাগ প্রেসকিবেল করতে পারবে না। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ফার্মেসিগুলো ওটিসি লিস্টের বাইরে কোনো ওষুধ বিক্রি করতে পারবে না।
৩. স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে সকল শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। আলাদা স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে পূর্বের মতো সপ্তম গ্রেডে নিয়োগ দিতে হবে।
এছাড়া, প্রতিবছর ৪ থেকে ৫ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। সেই সাথে ডাক্তারদের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।
৪. সকল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) ও মানহীন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সমূহ বন্ধ করে দিতে হবে। ইতোমধ্যে এসএসসি পাশ করা (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের স্যাকমো পদবি রহিত করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আন্দোলনকারী ইন্টার্ন চিকিৎসক জুহয়ের তওসীফ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, 'আমরা স্বাস্থ্যখাতের বিপ্লব সাধনের জন্য এই দাবি পেশ করেছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।'
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের দাবি পূরণ না হলে পরবর্তী কর্মসূচি আরো কঠোর হবে। তবে এ বিষয়ে কলেজ প্রশাসনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।