মানিকগঞ্জে ১০ কিমি সড়ক যেন মরণ ফাঁদ; স্থবিরতা ব্যবসা-বাণিজ্যে

মানিকগঞ্জ
উথুলী-জাফরগঞ্জ সড়ক
এখন জনপদে
0

সংস্কারের অভাবে মানিকগঞ্জের উথুলী বাজার থেকে জাফরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই এই পথ দিয়ে চলাচল করতে হয় তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষকে। শুধু দুর্ভোগই নয়, বেহাল সড়কটির প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতেও। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা।

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী বাজার থেকে জাফরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক এখন রীতিমতো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই এই পথ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তিন উপজেলার মানুষকে। শুধু দুর্ভোগই নয়, বেহাল এই সড়কটির প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতেও। ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। আরো জানাচ্ছেন আসাদ জামান।

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী বাজার থেকে জাফরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। আর বর্ষা মৌসুম এলেই এই সড়কটি রূপ নেয় এক জলাবদ্ধ, দুর্গম জনপথে। বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতেই জমে যায় পানি। কাদা-নর্দমায় রাস্তাটি হয়ে ওঠে ভয়াবহ। অথচ এই সড়ক ব্যবহার করেই প্রতিদিন শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার হাজারো মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই সড়কে সর্বশেষ সংস্কার কাজ হলেও এরপর কেটে গেছে প্রায় এক দশক। এত দীর্ঘ সময়েও বড় কোনো সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি এখন ভয়ঙ্কর মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে যানবাহনের ক্ষতি ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। চলাচলের দুর্ভোগের পাশাপাশি এই সড়কের বেহাল দশা স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যেও ফেলছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব।

ভুক্তভোগীরা জানান, মানুষের চলাচল ও ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে বেহাল অবস্থার জন্য এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না কেউ। বাজারের জিনিসপত্র সময়মত আসতে পারেনা। গাড়ি চলাচল করতে পারে না, চাকা ডুবে নষ্ট হয়ে যায়। সুনির্দিষ্ট নজরদারি না করা হলে সমস্যা আরও বাড়বে বলে জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা।

তবে দ্রুত সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘উথুলী-জাফরগঞ্জ সড়কটি জরাজীর্ণ হয়ে আছে। এ বিষয়টি আমাদেরও নজরে এসেছে। এজন্য ২০২৫ সালের জুলাই-আগস্টে আমরা যে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছি সেখানে এটি অন্তর্ভুক্ত করেছি। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে।’

তিন উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের জীবনযাত্রা, শিক্ষা, চিকিৎসা ও অর্থনীতি নির্ভর করে এই জরাজীর্ণ সড়কের ওপর। দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন পড়ে থাকা এই সড়কটি শুধু জনভোগান্তিই বাড়াচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত করছে পুরো এলাকার আর্থ-সামাজিক চিত্রকেও।


ইএ