ঈদ কেবল নতুন পোশাক নয়, দুই হাত মেহেদিতে রাঙিয়ে নিতে বিশেষ উৎসব হিসেবে ধরা দেয় নারীদের কাছে। সঙ্গে পছন্দের প্রসাধনীর ব্যবহার আর রূপটানে নিজেকে নতুন রূপে সাজিয়ে নেয়াতো আছেই। প্রকৃতি ও পরিবেশের কারণে গরমে ভারি মেকআপ অস্বস্তির কারণ হতে পারে তাই এবারে হালকা ও সতেজ সাজসজ্জা বেছে নিতে চাইছেন তরুণীরা।
একদিকে বিদেশি প্রসাধনীর মান নিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব, অপরদিকে বাজারে মিলছে মানসম্পন্ন নানা দেশিয় পণ্য। এতে করে বাড়ছে ক্রেতা চাহিদা। মেহেদি, লিপস্টিক, ফেইস পাউডার, নেলপলিশ, কাজল, আইলাইনার আর গাঢ় রঙের বদলে পিচ, মভ ও গোলাপির মত হালকা রঙের লিপস্টিক কিনছেন নারীরা।
একজন বিক্রেতা বলেন, '১০ রোজার পর থেকে পুরোদমে বেঁচা-কেনা চলবে।'
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবারে প্রসাধনীর দাম কিছুটা বাড়তি। আর রমজানের শুরুর দিক হওয়ায় ক্রেতাদের ভিড়ও কিছুটা কম। তবে রমজানের শেষের দিকে ক্রেতাদের ভিড় আরও বাড়বে বলছেন তারা। আর ব্যবসায়িক নেতারা বলছেন, আসন্ন ঈদে জেলায় প্রসাধনী বিক্রি হবে ১২ কোটি টাকার।
টাঙ্গাইলের চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বলেন, 'টাঙ্গাইলে অন্তত ৬০০-৭০০ কসমেটিকস এর দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন এবার তারা ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন ।'
গত বছর ঈদে টাঙ্গাইলে ৭ কোটি টাকার প্রসাধনী বিক্রি হয়েছিল।