ফরিদপুরে পেঁয়াজে ৫শ' কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের

কৃষি
এখন জনপদে
0

পেঁয়াজের পর এবার ফরিদপুরে পেঁয়াজ বীজের ভালো ফলন হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে কালো সোনা হিসেবে পরিচিত এই বীজ উৎপাদনে খেত পরিচর্যায় বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার চাষিরা। চলতি মৌসুমে অন্তত ৫শ' কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের।

যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই সাদা ফুলের সমারোহ। ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের মাঠে মাঠে দুলছে পেঁয়াজের সাদা ফুল। পরাগায়নের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হাত লাগিয়েছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা।

নভেম্বর-ডিসেম্বরে শুরু হয় পেঁয়াজ বীজের আবাদ। ফলন ওঠে এপ্রিল-মে'তে। এরপর এক বছর বীজ সংরক্ষণ করে পরবর্তী বছরে বিক্রি করা হয়। তবে, চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত মৌমাছি না থাকায় হাত দিয়েই পরাগায়ন করতে হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।

একজন কৃষক বলেন, ‘পরাগায়ন করলে বীজ ভালো জন্মায়, বীজের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।’

আরেকজন বলেন, ‘মৌমাছির সংকট থাকায় আমরা নিজেরাই পরাগায়ন করাচ্ছি যেন আমাদের বীজটা সুন্দর হয়।’

জেলায় পেঁয়াজ বীজের খেতে কাজ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসেন শ্রমিকরা। এখানে কাজ করায় ঘুরছে তাদের সংসারের চাকা।

একজন কৃষক বলেন, ‘বিদেশ থেকে বীজ আনতে হবেনা বরং আমরাই বিদেশে বীজ পাঠাবো যদি সরকার কৃষকদের ওপর একটু নজর দেয়।’

এদিকে মাঠের পর মাঠ বীজের সাদা ফুল দেখতে প্রতিদিনই মাঠে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। ক্যামেরাবন্দি করছেন প্রকৃতিতে মিশে যাওয়া পেঁয়াজ ফুলের সৌন্দর্য।

একজন নারী উদ্যোক্তা শাহিদা বেগম বলেন, ‘আবহাওয়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা যদি চারার যত্ন করতে পারি, তাহলে ভালো ফলন আশা করতে পারি।’

কৃষি বিভাগ জানালো, ফলন বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা নিয়ে কৃষকদের পাশেই আছেন তারা।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কৃষকদের পরামর্শ দেই মৌসুম শুরুর আগে আমাদের মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার জন্য। যেহেতু পেঁয়াজ একটি পরপরাগী ফসল তাই মিটিংয়ে আমরা পরামর্শ দিয়ে থাকি যে পোকামাকড় দ্বারা সঠিকভাবে পরাগায়ন সা হলে তারা যেন হাত পরাগায়ন পদ্ধতি অবলম্বন করে। এতে পেঁয়াজের গুণগত মান অক্ষুণ্ন থাকবে এবং পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।’

দেশের চাহিদার অর্ধেক পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হয় ফরিদপুরে। এবছর ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ হয়েছে।

সেজু