তিনি বলেন, ‘নারী-শিশু, আবাল বৃদ্ধ-বনিতাসহ সকলকেই নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। ছোট ছোট শিশুরা জানে না কীভাবে তার উপরে বোমা পড়ছে। মুসলিম রাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের মানুষ এ গণহত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। গণহত্যা চালিয়ে কেউ কখনও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই, ইসরাইলও পারবে না। তাদের ধ্বংস অনিবার্য।’
টুকু বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসও তাই বলে। শুধু মুসলমান হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সকল মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ কেউ এই গণহত্যাকে সমর্থন করে নাই।’
শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো বিশ্বের সকল দেশেই বিক্ষোভ হচ্ছে, প্রতিবাদ হচ্ছে। যে শিশুটি মারা যাচ্ছে তার কী দোষ, তার কী অপরাধ! সে জন্য সারা বিশ্বের মানুষ ইসরাইলি পণ্য বর্জন করছে। আজকের সমাবেশের নেতাকর্মীরাও ইসরাইলি পণ্য বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।’
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ইরাক-ইরান যুদ্ধে ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমরা কোনো গণহত্যাকে সমর্থন করবো না। এ গণহত্যাকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি ও নিন্দা জানাই। এ গণহত্যার বিচার দাবি করছি।’ এছাড়াও গণহত্যার জন্য বিশ্ববাসীকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আওয়ামী লীগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘কয়েক মাস আগে দেশ থেকে এক ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিয়েছে। তারাও নির্বিচারে দেশে গণহত্যা চালিয়েছিল। খুনি শেখ হাসিনা এ দেশের ছাত্র জনতাকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে। প্রায় আটজন শিশু বাচ্চাকে গুলি করে হত্যা করেছে। মায়ের কোলে সন্তান, বাবার কোলের সন্তান ও হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করেছে শেখ হাসিনা। তার দোসররা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দূর্জয় হোড় শুভর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু।