নিহতরা হলেন বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত ওছির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫৫) এবং একই গ্রামের মৃত আফসের আলীর ছেলে আজিজুল হক (৫৫)।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধুরিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও লালচানের পাশাপাশি জমি আছে। শরিফুল ইসলামের বাবা আফসার আলী ১০ বছর আগে তাদের জমিতে মেহগুনি গাছ রোপণ করেছিলেন। সম্প্রতি জমি মাপজোক করে গাছটি লালচানদের মধ্যে পড়ে।
গতকাল বুধবার রাতে শরিফুল ইসলাম গাছটি কেটে নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে লালচান জমিতে গাছ দেখতে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন। দুপুরের শরিফুল ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লালচান ও তার লোকজন রামদা, কুড়াল, হাসুয়া দিয়ে শরিফুল ইসলামকে আক্রমণ করে গুরুতর আহত করে।
এ পর্যায়ে শরিফুল ইসলামকে বাঁচাতে তার আত্মীয় স্বজন এগিয়ে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনায় আহত হয় আরো ১০জন। আহতদের মধ্যে আজিজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। আরো দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক।
তারা হলেন আব্দুস সাত্তারের ছেলে রবিউল ইসলাম ও অসির দফাদারের ছেলে একরামুল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বুধুরিয়া ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কছিমুদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে কালামসহ ১০ জনকে আটক করে।
নিয়ামতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, 'ঘটনায় দুইজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।'