আজ (শুক্রবার, ১১ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী বলী (কুস্তি) খেলার অনুষ্ঠানের দৃশ্য ছিল এমনই। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে রাঙামাটিতে বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসু, বিষু, বিহু, চাংক্রান, পাতা উদযাপনে চারদিনের কর্মসূচির তৃতীয় দিনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) প্রধান ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা)।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেএসএসের সহসভাপতি ও সাবেক এমপি ঊষাতন তালুকদার, উৎসব উদযাপন কমিরি সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, সদস্য সচিব ইন্টুমনি তালুকদারসহ অন্যরা।
বলী খেলায় ক্ষুদে বলী, সাধারণ বলী ও বিভিন্ন সময়ে সেরা পাহাড়ি বলীরা (কুস্তিগির) অংশ নেন। এতে এবার চ্যাম্পিয়ন হন খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা। দ্বিতীয় হন খাগড়াছড়ির মহালছড়ির বাবু মারমা আর তৃতীয় হয়েছেন রাঙামাটির দীপু তালুকদার।
এরপরে মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর শিল্পীরা নিজেদের পোশাক ও অলংকারে সজ্জিত হয়ে বর্ণিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা তুলে ধরেন।
চার দিনব্যাপী বর্ণিল এই উৎসবের চতুর্থ দিনে ১২ এপ্রিল ভোরে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে চৈত্র সংক্রান্তির মূল আনুষ্ঠানিকতা 'ফুল বিজু' অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় আর নতুন বর্ষকে বরণ করা হবে। গত ৯ এপ্রিল সকালে উৎসব উদযাপন কমিটি রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে ৪ দিনের কর্মসূচির উদ্বোধন করে।
এর আগে গত ৩ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৭ দিনের বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু মেলার যৌথ আয়োজন করে রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট ও রাঙামাটি জেলা পরিষদ। আগামী ১৬ এপ্রিল রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মারমা সম্প্রদায়ের জলকেলি উৎসবের মধ্য দিয়ে বর্ণিল এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে।
উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টুমনি তালুকদার জানান, পাহাড়ের মানুষ প্রতিবছরই আমাদের ঐতিহ্যবাহী এই বলী খেলার আয়োজন করে আসছেন। আমরা চাই এখান থেকে আরও বলী গড়ে উঠুক। আমরা অনুপ্রেরণা দিতে এসবের আয়োজন করছি।