আড়তদার আর ক্রেতা-বিক্রেতার হাক ডাকে বেশ মুখরিত থাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। জাটকাসহ নদীর নানা ধরনের মাছ বিক্রি হচ্ছে হরদম।
পহেলা বৈশাখ ঘিরে ইলিশের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই জেলেরাও বাড়তি লাভের আশায় নদীতে নামছে ইলিশ ধরতে। অথচ গেল মার্চ মাস থেকে নদীতে মাছ ধরায় চলছে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা।
ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচরের চরভৈরবী পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে জাটকা রক্ষায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা।
তবে নিষেধাজ্ঞা না মেনে দিনে-দুপুরে মাছ ধরতে নামছে জেলেরা। পদ্মা ও মেঘনা পাড়ের প্রায় প্রতিটি ঘাটেই বিক্রি হচ্ছে জাটকা ও ইলিশ।
জেলেদের মধ্যে একজন বলেন, 'সামনে পহেলা বৈশাখ হওয়ায় সবাই মাছ ধরছে, এই সময় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যাবে।'
প্রকার ভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। মাঝারি সাইজের প্রতি পিস ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার টাকায়। আর এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়।
বাংলাদেশ কান্ট্রি ফিশিং বোট মালিক সমিতি চাঁদপুরের সভাপতি শাহ আলম মল্লিক বলেন, 'অনেক জেলে হয়তো মামলার ভয়ে নদীতে নামে না, কিন্তু কিছু অসাধু জেলে নামে। দেখা যায় এক-তৃতীয়াংশ জেলে এভাবে নদীতে মাছ ধরে। এর ফলে কিছুটা হলেও আমাদের জাটকা রক্ষার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।'
জাটকা রক্ষায় প্রতিনিয়ত নদীতে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছ নৌ পুলিশ। আর জাটকা রক্ষায় আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মানুষকে আরো সচেতন হওয়ার আহ্বান জানালেন জেলা প্রশাসক।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএমএস ইকবাল বলেন, 'কেউ যদি জাটকা ধরে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন বলেন, 'আমাদের প্রতিনিয়ত অভিযান চলমান রয়েছে। হয়তো আমরা সেভাবে এখনো সফল হতে পারিনি।'
চাঁদপুরে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার অভিযানে এখন পর্যন্ত জব্দ করা হয়েছে প্রায় ১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও দুই মেট্রিক টন জাটকা।