পালিয়ে আসা মিয়ানমারের ৩৪ সেনা ও বিজিপি সদস্যসহ মোট ৪০ জন নাগরিককে নিয়ে আজ (বুধবার, ৭ মে) বিকেলে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয় বিশেষ ফ্লাইট। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো গন্তব্যে বিমান গেলো কক্সবাজার থেকে। এসময় বিমানবন্দর ঘিরে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এর আগে সোয়া ১১টায় বাস যোগে মিয়ানমার সেনা ও বিজিপির ৩৪ জন সদস্যকে কড়া নিরাপত্তায় আনা হয় কক্সবাজার বিমানবন্দরে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত মিয়ানমারের ছয় নাগরিককে আনা হয় প্রিজন ভ্যানে। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে যেহেতু আন্তর্জাতিক ফ্লাইট এটি প্রথম তাই বিশেষ ব্যবস্থায় সম্পন্ন করা হয় ইমিগ্রেশনসহ সব প্রক্রিয়া।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট মো. সাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে আমাদের পার্টের যত প্রক্রিয়া ছিল সব সম্পন্ন করে তারা ফ্লাই করেছে কিছুক্ষণ আগে।’
আগামী জুনে এই বিমানবন্দর থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালানোর আশাবাদ জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের।
এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূইয়া বলেন, ‘কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নরমালি কাস্টমস ইমিগ্রেশন করেই তো বাইরে যায়। এ সমস্ত প্রসিডিউর লিমিটেড হলেও টেম্পোরারি ওখানে বসাচ্ছি। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হওয়ার আগে এটা একটা ট্রায়াল হয়ে গেলো।’
এর আগে ৭৫২ জনকে তিন দফায় নৌপথে ফেরত নেয় মিয়ানমারের জান্তা সরকার। একইভাবে মিয়ানমারে আটকে থাকা ২১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিকও দেশে ফিরে আসেন।