নিহত রাবেয়া সাবরিন লিখন (২৮) পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার উত্তর পটখালী গ্রামের সেলিম হাওলাদারের মেয়ে। তিনি গাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার গোলাম মোস্তফার বাড়িতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে টঙ্গীর শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের (মৈত্রী শিল্প) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়াদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় এক বছর আগে ওই ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে ভাড়া নিয়ে মা রাজিয়া বেগমকে নিয়ে বসবাস করতেন। রাতে লিখন বাসায় একাই ছিলেন।
সকাল নয়টার দিকে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা ঐ কক্ষের দরজা বাহির থেকে আটকানো দেখতে পান। পরে ওই কক্ষের দরজা খুলে বিছানার উপর ওড়না এবং গামছা দিয়ে লিখনের হাত-পাঁ ও মুখ বাঁধা নিথর দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রতিবন্ধী নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’
শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের (মৈত্রী শিল্প) ম্যানেজার মহসিন আলী বলেন, ‘লিখন মৈত্রী শিল্পে একজন কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। সে তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারী।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতের হাত-পাঁ ও মুখ বাধা ছিল। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক সুরতহালে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা জানিয়েছে ওই বাড়িতে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল যা আজই খুলে ফেলা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরাটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’