সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে মমতাজ বেগমকে আদালতে আনা হয়। পরে সকাল ১১টার দিকে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলার দুটি পৃথক মামলায় শুনানি শেষে আদালত ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানি শেষে বেলা ১২টার দিকে মমতাজ বেগমকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছিল। এসময় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতার একটি অংশ ‘হত্যার বিচার চাই, মমতাজের ফাঁসি চাই’, ‘মমতাজের দুই গালে জুতা মার তালে তালে’ স্লোগান দিতে দিতে হঠাৎ করে ডিম ও জুতা ছুড়ে মারেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিমের কয়েকটি মমতাজ বেগমের গায়ে লাগলেও নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ দ্রুত তাকে প্রিজন ভ্যানে তুলে ফেলে। এই ঘটনায় মুহূর্তেই আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন:
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক ছিল এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সিংগাইরের গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে একটি মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। দীর্ঘ এক দশক পর চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর ওই ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির স্বজন মজনু মোল্লা বাদী হয়ে মমতাজ বেগমকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে, হরিরামপুর উপজেলায় হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে আরো একটি নাশকতার মামলা রয়েছে মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে, যা দায়ের করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।